বয়ঃবৃদ্ধ পৃথিবীর অন্তিমক্ষণ
ললাটে ‘মহাপ্রয়ান’ খচিত নোটিশ,
ভেবোনা, বার্ধ্যক্যে নীতিগত অন্তর্ধান
এ-তো ঘৃণা আর ক্ষোভে প্রায়ান্ধময় কুলিশ।


দেখো, ধরণীর শিরায় শিরায়
ঝিমধরা নৈঃশব্দ্যের অভিশপ্ত নগরী,
মানুষে নেই মনুষত্বের ছাপ, কেবল নিগ্রহ
বঞ্চনায় নিষ্পেষিত সব, নেই মুষ্ঠিবদ্ধ জাগরী


দেখো, জগৎ সংসারের নিষ্ঠুরতা
বাবার হাতে ছেলের রক্তাপ্লুত লাশ,
স্বার্থ হাসিলে মা আজ মেয়েরে কৃষ্ণপক্ষ
বনেবাদাড়ে রক্তের ডোবায় স্নান করে উল্লাশ


ঐশ্বর্যের হাতে গরীবের খুন
ক্ষমতার পদতলে পিষ্ট আমজনতা,
গোলাপের উদ্যানে উলূকের ভয়ানক রুপ
হিংস্রতা বইছে জোয়ারেরমত, কোথাও নেই মমতা।


নির্মল বাতাশে বীভৎস লাশের গন্ধ
স্নেহের কাঙ্গাল ক্রন্দনে অপ্রসন্ন আকাশ,          
রোজ প্রত্যুষে মার্তণ্ড ছড়ায় ঘৃণার রোদ্দুর
সায়াহ্নে দিনের অভিশাপ, রাতও তার সংকাশ।


এতসব অভিশাপে পৃথিবী আজ মর্মাহত
মানুষের মত আশ্রিতরা কেন এত অমানুষ,
ক্রোদ আর ঘৃণায় শরিত্রী আত্নবিনাশের ঘন্টা বাজায়
মহাশুণ্যে শুনি চরমপত্রের গুঞ্জরণ, তবুও ফিরেনা একটু হুশ।