অতঃপর আমাকে একটা গ্রহে পাঠানো হল-
পর্যবেক্ষণের জন্য উপকরণ হিসেবে দেওয়া হলো 'বাঙলার শীতকাল থেকে একটি দিন এবং রাত।'    
আমি বিস্মিতচিত্তে দেখলাম--    
কচিরোদের উত্তরোত্তর বেড়ে উঠার বৈপরীত্যে
ঘাসের বুকে জন্ম নেওয়া শিশিরের হারিয়ে যাওয়া এবং
ঘুমন্ত পৃথিবীর জেগে উঠা।
দেখলাম তকতকে দুপুরের নগ্নতা!
বিকেলের ছায়াপথে সূর্যিমামা, খেচর কিংবা পক্ষীবিশেষ পতঙ্গদের সাথে সংসারী প্রাণীদের ঘরে ফেরা এবং
বর্ণহীন আঁধারের বুকে রংবাহারি সন্ধ্যামালতীর ফোটে উঠা।    
আমি আরো অনেক কিছুই দেখলাম...
এই যেমন, তুমুল অন্ধকার, শুভ্র আলো এবং বুভুক্ষু অগ্নিশিখা।            
নক্ষত্রভরা রাতে- তীব্র শৈত্যপ্রবাহে শুনলাম হুতুম প্যাঁচা, ঝিঝিপোকা বা ঝরাপাতাদের সাথে দরিদ্র পথশিশুদের চাপা আর্তনাদ এবং ভোরের পাখিদের নির্মল গান--              
এভাবেই......
দেখতে-দেখতে, শুনতে-শুনতে আমার ভ্রমণকাল
ফুরিয়ে গ্যালো।  
প্রতিবেদন জমা দিতে গিয়ে টের পেলাম, জানা হয়নি ঘাসের বুকে জন্ম নেওয়া একফোঁটা শিশিরের আত্মকাহিনীও।
-এ দায়ভার ঈশ্বর কিংবা প্রকৃতির নয়(!) একান্ত আমার।