//আছে আছে, তার আছে একটি শরীর//


তার হাতে কিছু নেই, পায়ে জুতো নেই
জামা কী থাকবে গা'য়ে! সন্দেহ তাই|


চুল দিয়ে ভরা মাথা, তার খুব আছে
এ তো ঠিক, কেউ নেই তার কাছে কাছে|


সে কিন্তু সর্বদা সকলের সামনে
হেসে কেঁদে লুটোপুটি যার নেই মানে|


হাসে কাঁদে! তার মানে আছে অনুভূতি
দেয় নাকি সে কখনো কোনো বিবৃতি!


বিবৃতি! হাঃ হাঃ হাঃ, ক্রমাগত দিচ্ছে
শুনছে না কেউ, তবে কানে এসে ঢুকছে|


যার কানে ঢুকছে, দিচ্ছে না পাত্তা
যা ঢুকছে শব্দ, হচ্ছে বেপাত্তা|


তার কী অসুখ হয়! খবর কে জানে!
খবর রাখে না কেউ বামে কিবা ডানে|


তার মতো কেউ নেই জগতে স্বাধীন
সে তো সব বিষয়েই থাকে উদাসীন|


নেই আয়, নেই ব্যয়, নেই কোনো লোভ
সে কী তবে ভুগছে নিয়ে খুব ক্ষোভ!


চায় না সে কিচ্ছুই, থাকে আনমনে
তার কী যে সন্মান, সেই শুধু জানে|


সে এক মানুষ তার রুপই দেয় বলে|
বেঁচে থাকে কিছু খেয়ে আকাশের তলে|


কখন ঘুমোয় আর জাগে সে কখন  
সময় না জানলেও, ঘুমে কোনো ক্ষণ|


কে তার নিজের লোক জানে নাকি কেউ!
তার মনে কখনো কী ওঠে খুশী ঢেউ!


তার পরিচয় নিয়ে আছে শুধু ধন্দ
বহু কথা শুনে শুনে ভাবনাই বন্ধ|


পিতা মাতা থাকবে না, ভাবনা অসঙ্গত
স্বজন কে আছে নেই, কেউ নয় অবগত|


ঠিকানার কথা তুলে দিও না গো লজ্জা
ঠিকানা না থাকলে কী থাকে কোনো শয্যা!


এটা নেই সেটা নেই, কিছুই কী তার নেই!
আছে আছে, তার আছে একটি শরীর ভাই|


শরীর মানেই তার হয়েছিল জন্ম
কোথায় জন্মেছিলো, কী যে তার ধর্ম!


প্রশ্নের পরে শুধু প্রশ্ন এই মনে
উত্তরগুলো শুধু উপরওয়ালা জানে|


জানতে কী চাও না কে নায়ক কবিতার!
একটি মানুষ সে তো নিয়ে সব অধিকার|


অধিকারে বঞ্চিত, কারণ সে পাগল
অজান্তে একদিন ছাড়বে এই ভূতল


সুবীর সেনগুপ্ত