//ভাবনা, 'জাতিস্মর'কে ঘিরেই//


পেলে কি মুক্তি! নাকি করলেই ত্যাগ!
যাই হলো, তার পরিণাম হলো এক।


যে বাসস্থানে, এতদিন ধরে ছিলে
সেটা খালি করে, ধ্বংসের পথে ঠেললে।


জানাবে কি তুমি, নতূন বাসস্থান!
জানাবে কি করে! কোত্থাও নেই প্রাবধান।


কবে এসেছিলে, এই বাসস্থানে, জানি
কবে ছেড়ে দিলে, তাও হলো জানাজানি।


এখন, নতূন বাসস্থানেই বাস
হয়েছ কি এই, বাসস্থানেরই দাস!


আগের কুটির, আজও মনে পড়ে নাকি!
বোধহয় ভুলেছ, তাই স্বাভাবিক নয় কি!


পুরোনো বাসস্থান, মনে রাখা দুষ্কর
যাঁর মনে থাকে, সেই তো জাতিস্মর।


রোজ কত শত, মানুষ মুক্তি পাচ্ছে
আমাকে থামিয়ে, বলবে কি ত্যাগ করছে!


ত্যাগ বা মুক্তি, চাই না জড়াতে তর্কে
মন আমার ভাবে, শুধুই জাতিস্মরকে।


সে জাতিস্মর, আমি কেন নই, ভাবছি
এই ভাবনার, খোঁজে কি সফল হচ্ছি!


একই ধাঁচে সব, শরীর গড়েছে ভূবনে
এক মন আর, এক আত্মাই গঠনে।


পুরোপুরি এক, হয়েও তো পক্ষপাত
আমার চেতনা, ছটফট করে কাত।


আজ যে আত্মা, এই শরীরের মাঝে
কাল সেই আত্মা, অন্য শরীরে বিরাজে।


আবাস বদল, হয়ে যায় প্রয়োজনে
নাম পরিচয়, হারিয়ে কি যায় স্মরণে!


একটি আত্মা, ভোলে না পূর্বতন জীবন
আর এক আত্মা, নতুনেই করে সমর্পণ।


এই তারতম্য, উপলব্ধির ক্ষমতা নেই
ভাবনার ঘুরপাকে পড়ে, তাই লিখে যাই।


সকলে জেনেছে, জাতিস্মর নয় প্রবাদ
জাতিস্মর নয়, কেবলই এক সংবাদ।


জাতিস্মর নই, হওয়ার ইচ্ছা হয় তো
আমার ইচ্ছা, ভাবনাতেই আবর্ত।


সুবীর সেনগুপ্ত