//ভাবনা করেছি বন্দী//


আমার যত ভাবনাগুলো
বন্দী করে রাখার চেষ্টা
এ কাজ সরল নয় তা জানি
তাও করে যাই দেখতে শেষটা।


ভাবনা বন্দী করাই কেন!
এ কি নিছক খেয়াল নাকি!
নিছক খেয়াল হলেও এ কাজ
অবৈধ কাজ বলবে নাকি!


আমার ভাবনা, আমারই তো
বন্দী করার সময় আমার
একাই এ কাজ করছি আমি
খুলছি ভাবনাগুলোরই দ্বার।


বন্দী করা মানেই লেখা
তাতেই ব্যস্ত করেছি মন
যতই লিখছি, হচ্ছি অবাক
কোথায় ছিল এ ভাবনা বন!


ইচ্ছেই বলো, খেয়াল বলো
বলতেও পারো অযথা কাজ
প্রতিবাদের ঝড় তুলব না
দেবো না তো ব্যাখ্যার সাজ।


আমার ভাবনা বন্দী হচ্ছে
বন্দী হয়ে থাকছে পাতায়
পড়লে পরেই হবে স্বাধীন
ঢুকেও যাবে আর এক মাথায়।


কার ভাবনা কেমন হবে!
জানব, তারই লেখা পড়ে
তাই তো লেখা খুব প্রয়োজন
পড়ার থেকেই জানার ঘরে।


অন্য কি আর পন্থা আছে
ভাবনাগুলো করতে বন্দী!
রাখলেই হয় স্মৃতির মাঝে
মনের সঙ্গে করেই সন্ধি।


লিখে লিখেই রাখতে পারি
সাজিয়ে সব ভাবনাগুলো
তেমন হয়না স্মৃতির মাঝে
লেখাই আমার সঙ্গ পেলো।


যে সব লেখা হয়েছে শেষ
সেইগুলোকে যায় তো গোনা
লিখব আরো সন্দেহ নেই
সে সব হিসেব আজ অজানা।


ইচ্ছে আছে, করব বন্দী
সব ভাবনাই এক জায়গায়
সে কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকি
পেলেই অতিরিক্ত সময়।


সুবীর সেনগুপ্ত