//ভদ্রতা সভ্যতা সৌজন্য//


ভদ্রতা সভ্যতা এবং সৌজন্য
এগুলো ছাড়া কী আছে, আর কিছু অন্য!


সমাজ যে ভদ্র, সবার ধারণা তাই
আমি এই ধারণাকে আপন তো করবই|


সভ্য না হলে কী, হওয়া যায় ভদ্র!
সূর্য না থাকলে কী, পাওয়া যেত রৌদ্র!


আবির্ভাব তো এই, সুসভ্য সমাজেই
সভ্য মানতে হবে, এই একটি কারণেই|


সবাই সভ্য, তাও অসভ্য অনেক আছে
তার মানে, নিজে থেকে অসভ্য হয়ে গেছে!


সভ্য-ভদ্র, দুটো শব্দ কী সমার্থক!
এই জবানীর নই, আমি তো সমর্থক|


যাঁরা অসভ্য, তাঁরা হয় কী অভদ্র!
অভদ্র হয়েই কী, ব্যবহারে রুদ্র!


অসভ্য মানে কি! উলঙ্গ হয়ে ঘোরা!j
অঙ্গভঙ্গি করে, শুধু বিরক্ত করা|


অসভ্য সংজ্ঞার, কী আসল ব্যাখ্যা!
জানি কেউ বলবে না, দেবে শুধু ধাক্কা|


সভ্য হলেই কী, হয়ে যাবে ভদ্র!
মানতে চায় না এই মন, যেটা ক্ষুদ্র|


ভদ্র হওয়ার আছে, কিছু মাপকাঠি
খুবই সাধারণ, মেনে ভদ্রতা খাঁটি|


যে লক্ষ্যই থাক, জীবনে এগিয়ে যেতে
ভদ্রতা সাথে থাক, প্রতিটি পদক্ষেপেতে|


আলাপচারিতা হোক, সর্বদা ইতিবাচক
ভদ্রতাতেই, সেটা হয়ে যাবে সার্থক|


অনেক আলাপ হয়, নগণ্য বিষয়ে
কিন্তু আলাপে থাক, সৌজন্যতা ছেয়ে|


দেখতে সৌজন্যতা, চাই না তো অর্থ
দেখানোর জন্য কী আসে কোনো শর্ত|


এগুলোর অভাবেই হয় কলহের সৃষ্টি
কী ভাবে তাহলে হবে অস্তিত্ব মিষ্টি!


সভ্যতা ভদ্রতা এবং সৌজন্য
থাকলে, হয়েই যাবে মানুষ অনন্য|


সুবীর সেনগুপ্ত