//বিশদ কখন চাই!//


বিশদ বিবরণ, কখন যে প্রয়োজন!
কখন যে হতে হবে, কোথায় লাঞ্ছন!


একটি বিষয় নিয়ে, খুব বেশী বেশী কথা
আছে নাকি দরকার, নাকি চাই নীরবতা!


বিশদ বিবরণ, চাই তো অনেক কাজে
তা বলে তো হয় না খোলাখুলি সব কাজে।


বিশদে বলতে হবে, যদি থাকে গুরুত্ব
নিছক কথা নিয়ে কেন হই মত্ত!


আদালতে জেরা হলে, বিশদ বলতে হয়
সাধারণ জীবন তো বিশদে সময় যায়।


কোথায় বিশদ লাগে, কোথায় যে লাগে না
আর না জানলে, কথা কারণেও সাজে না।


একই বিবরণ যদি আবার করতে হয়
বিশদ হলেই, সেটা ওলট পালট হয়।


বক্তা বিশদ চায়, কোনো ভুল তাতে নেই
শ্রোতা না চাইলে, পরে সংক্ষেপে বলবেই।


বিশদ না হলে পরে, বিবরণ আংশিক
আংশিক ভরে থাক, মুখ্য যা সবদিক।


শ্রোতা চাইলেই বলো, বিশদ যত খুশী
পরে কি হবে না হবে, সামলাক সেই বেশী।


অল্প কথাতে যদি স্থিতি যায় জানানো
বিশদকে শুধু শুধু কেন বারবার টানো!


সুবীর সেনগুপ্ত