চরম ক্ষণ


জীবন যখন পারেনা চলতে
ভাবতে পারেনা কি হবে করতে
সে এক চরম ক্ষণ জীবনের
তার থেকে চায় নিষ্কৃতি পেতে।


যখন চলছে ঠিকঠাক ভাবে
ভাবেনা তো কেউ এ ক্ষণ আসবে
এ এমন ক্ষণ দেয় না মুক্তি
মুক্তি পেলেও, আবার আসবে।


গড়ে তুললেও জ্ঞানের পাহাড়
উপার্জনকে করে বিস্তার
জীবন যাবে না দূরে, বহু দূরে
সেই ক্ষণটাই করবে প্রহার।


কোন ধারণায় জীবন বিলাসে!
অজানা উৎস থাকবে অজানা
কোন সাধনায় এ জীবন আসে!
এই চিন্তা কি হবেই বাহানা!


মাটি জুড়লেই, গড়বে পুতুল
আছে দক্ষতা, তাও তো অ-খাঁটি
এমনি ভাবেই গড়ছে শরীর
কে যোগায় প্রাণ! সেটাই তো খাঁটি।


দৃষ্টি, স্পর্শ, স্বাদ, ও শ্রবণ
এগুলো কি নয় জীবনের ধন!
এগুলোই যদি ক্ষীণ হয়ে যায়
জীবনে আসেই সে চরম ক্ষণ।


চরম ক্ষণকে ডাকতে হবেনা
অপেক্ষাও তার করতে হবেনা
জীবন চললে সাধারণ পথে
চরম ক্ষণের দেখা মিলবে না।


কোনো ক্ষণে যদি ভাবাই না যায়
কি যে করা হবে সেই ক্ষণে, হায়
সেই ক্ষণটাই নয় কি চরম!
আসলেই, সব আলো নিভে যায়।