জেদ আছে, নেই খেদ
নেই জ্ঞান ভেদাভেদ...
আছে বেশ, নেই ক্লেশ
জানে না সে, কি যে দ্বেষ...
যা কিছু দেখছে সে
সব এক হয়ে ভাসে...
তাড়া নেই কিছুতেই
যা দ্যাখে, মজে তাতেই...
নয় সময়ের দাস
না পেলেও নেই ত্রাস...
চোখে সেও চোখ রাখে
না বলা কথায় থাকে...
সে কি রাগে! সেই জানে
রাগার কি আছে মানে!
সে তো নয় নাবালক
নয় কাজের সাধক...
মন তো আছেই আছে
ভাবনাও তাতে নাচে...
করে না কিছু প্রকাশ
দেখায় না উচ্ছ্বাস...
আমি রোজ দেখি তাকে
সেও কি আমাকে দ্যাখে!
সে আমার ভাবনায়
এক স্থান জুড়ে রয়...
বাড়ী নেই, আছে দাঁড়ি
সে যে নর, নয় নারী...
অবাক চোখে সে চায়
কি খোঁজে সে এ ধরায়...
ঘর নেই, তাই ঘোরে
ঘোরে এই চত্তরে...
এক প্রাণ পরিণত
কাজ নেই বিধিগত...
আমি বাঁচি, সেও বাঁচে
বাঁচায় তফাৎ আছে...
আমার এ ভাবনায়
'তফাৎ' কি দায়ী নয়...
জানিনা সে ভাবছে কি
মনে মনে হাসছে কি!
কেউ তার নেই সাথী
কেউ নেই সমব্যথী...
এই যে জীবন তার
মনে হয় অবিচার...
কার দোষে সে পাগল
এ কি সমাজের ছল!
তার বাঁচার কারণ
নয় গাড়ী বাড়ী ধন...
কারণে কিছুই নেই
প্রাণ হলে বাঁচবেই...
যে প্রাণটা পাগলের
ঠিক তাই আমাদের...
আমাদের কলরব
আর সে থাকে নীরব...
কি হবে আর ভেবেই
দিন যাবে এ ভাবেই...
সে দিন তো আসবেই
ভাবনাও থামবেই...
পাগল ছাড়বে ধরা
তার পাশে আমি হারা।