ফুটপাথ বাড়ী।
।। সুবীর সেনগুপ্ত।।


ফুটপাথে শুয়ে, ঘুমিয়ে যে পড়ে
তার মতো সুখী, আছে নাকি ঘরে!


প্রজ্বলিত আলো, নেভাতে হয় না
দরজা খোলা কি! ভাবতে হয় না।


ফুটপাথে শুয়ে, ঘুমোয় যে লোক
তার বিছানাটা, পুরোই ভ্যুলোক।


কোন ফুটপাথ! জানতে হয় না
কার ফুটপাথ! মানতে হয় না।


ফুটপাথে শুয়ে, যে আরাম ঘুমে
পাওয়া যায় নাকি, গদীর নরমে!


হাজার নিয়ম, শুনতে হয় না
পিঠে ব্যাথা নিয়ে, ভুগতে হয় না।


ফুটপাথে শুয়ে, ঘুম একটানা
এপাশে ওপাশে, মেলে দিয়ে ডানা।


স্থানের অভাব, বোঝাই যায় না
ঘুমের অভাব, কখনো হয় না।


ফুটপাথে শুয়ে, ঘুমোয় নীরবে
মনে ভয় নেই, পাখা থেমে যাবে।


ফুটপাথে শোয়া, স্বভাব হয়েছে
এ স্বভাব তার, সুখ পাল্টেছে।


রাস্তার আলো, গাড়ীর নিনাদ
ফেলেনা প্রভাব, গাঢ় ঘুমে কাত।


ফুটপাথে শুয়ে, দ্যাখেও স্বপ্ন
যখন সে ঘুমে, থাকেও মগ্ন।


তোমার আমার মতই সে লোক
তারও ভাবনায়, দেখা দেয় ঝোঁক।


ফুটপাথে শোয়া, তার শখ নয়
বাধ্য হয়েছে শুতে, তাই শোয়।


হবেই যখন, ফুটপাথে শুতে
মেনেছে বিধান, নেই প্রতিবাদে।


এই জীবনের মানে সে জেনেছে
ফুটপাথে সুখ, খুশীও এনেছে।


শান্তির ঘুম, সে তো পেয়ে গেছে
গভীর নীদ্রা, চোখে ছেয়ে আছে।


নিশীথের তারা, হলে অদৃশ্য
ঘুম ভাঙলেও, হবে না নিঃস্ব।