//ঘৃণা নৈব নৈব চঃ//


ঘৃণা ভালবাসা, আশা ও নিরাশা
গড়েছে প্রতিটি মনে এক বাসা
কোনটা কখন করে তোলে মন তোলপাড়...
অনিশ্চয়তা নিয়েই জীবন হয় পার।


নোংরা জিনিস দেখে ঘৃণা জাগে
এই ঘৃণা করা স্বাভাবিক লাগে
ঘৃণা শব্দ কী তবে পেয়ে যাবে মান্যতা!
দেখতেই হবে কোন প্রেক্ষিতে এই কথা।


রূপ দেখে ঘৃণা করাই যায় না
ধর্ম কী হয় ঘৃণার বাহানা!
বিশেষ কারণে ঘৃণা কী গ্রহণযোগ্য!
হামেশাই হবে ঘৃণা নৈব নৈব চঃ।


কার মনে নেই ভালবাসা, বলো!
ভালবাসাই তো জ্বালে মনে আলো
ভালোবাসাহীন জীবনে খরার প্রকোপ...
এমন জীবনে খুশী আনন্দ পায় লোপ।


আশা নিয়ে ধনী এই ধরণীতে
আশা ঐশ্বর্য সকলের পাতে
আশা দূরে ঠেলে মানুষ বাঁচতে পারে না...
আশার কারণে মানুষ পাচ্ছে প্রেরণা।


আশা থাক, তবে না-থাক নিরাশা
পূরণ হয় না এই অভিলাষা
মনটা যে আছে সকলের অধিকারে...
ঘৃণা ভালবাসা আশা ও নিরাশা দুয়ারে।


একটি মনের একটি মালিক
অংশীদার নয় কোনো নাগরিক
ঘৃণা ভালবাসা সেখানেই পায় স্থান...
আশা নিরাশাও ঢুকে পরের অম্লান।


মনের দরজা বন্ধ রাখলে
ঘৃণা ভালবাসা যাবে নাকি চলে!
মনের দরজা পাই না খুঁজে কোথাও...
ঘৃণা ভালবাসা বলে যাও যাও যাও।


মনে যা ঢোকার, তা তো ঢুকবেই
আশা নিরাশাও তাতে থাকবেই
মনকে চালানো সেটাতো আমার দায়...
মেটাতে পারলে সেই দায়, হবে জয়।


সুবীর সেনগুপ্ত