করতে তো চাই অনেক কিছুই
লিখতেও চাই বৃহদ পদ্য
ভাবনাতে নেই তেমন গঠন
লেখাও হয় না অনবদ্য।


বলতেও চাই প্রচুর কিছু
পাই না শ্রোতা কোনোখানে
নিজেই শ্রোতা হয়ে শুনি
বন্ধ চোখে আপন মনে।


ঘুরতেও চাই স্বাধীনভাবে
নিয়ম রেখে পিছন পানে
দ্বায়িত্ব বোধ আটকে রাখে
হৃদয় জুড়োই আপন মনে।


দেখতেও চাই সব অনন্য
দেখতে পাই না এ মন যা চায়
এত আধুনিক অধুনাতে
দেখার শেষে মনটা ভাবায়।


খেলতেও চাই নানান খেলা
যার ভিতরে ভাবনা আছে
খেলার সাথী পাই না আমি
সবাই ব্যস্ত নানান কাজে।


রাখতেও চাই যত্ন করে
মূল্যবিহীন দ্রব্যগুলো
সবাই আমায় ব্যঙ্গ করে
বলে, এ শখ নয় যে ভালো।


মানতেও চাই নিয়মগুলো
দিনের শুরু এবং শেষে
নিয়ম মেনে আনন্দ পাই
এখন তখন অবশেষে।


করতেও চাই বিভিন্ন কাজ
করি কোথায় করার বেলায়!
যা করিনা, সেগুলো সব
মনের থেকে মিলিয়ে যায়।


লিখতেও চাই প্রত্যেকদিন
হয় না তো রোজ লেখা পূরণ
যাই লিখিনা সাদা পাতায়
ভাবনার হয় প্রতিফলন।


বসতেও চাই সবার পাশে
তাও কি সত্যি হয় কখনও!
নিয়ম দিয়ে ঘেরা সমাজ
দেয় না হতে আমায় বন্য।


বাসতেও চাই ভীষণ ভালো
এক দুই তিন চার পাঁচ ছয়
আমার ভালবাসা নিখুঁত
হয়ত সবাই পায় অতি ভয়।


থাকতেও চাই যেমন তেমন
রীতি নীতির থেকে দূরে
চাওয়ায় শুধু সুস্থ শরীর
আর হতে চাই ভবঘুরে।


দিতেও তো চাই তাকেই আমি
অভাব যাকে ঘিরে আছে
চাইনা ফেলতে প্রভাব আমি
অকারণে দেওয়ার মাঝে।


মাততেও চাই পূর্ণানন্দে
রাত্রি দিনে সকল সময়
চতুর্পাশের বিষাদ দেখে
আমার খুশী মিলিয়ে যায়।


পড়তেও চাই যা পড়া যায়
বাংলা এবং ইংরাজি
পড়েও ফেলি সামনে যা পাই
হই না পড়ায় নিমরাজী।


গড়তেও চাই যা হোক কিছু
যাই গড়ি সব হয় সাধারণ
সাধারণের মাঝেই তো পাই
চলার শক্তি অসাধারণ।