//হিংসার ও ঈর্ষার সংজ্ঞা//


পথে নামলেই যে আনন্দ
একই আনন্দ বাড়ীতে থাকলে
কর্মক্ষেত্রে বদলে যায় না
যাত্রাতে সেই আনন্দের তালে।


কেন যে ভাবছ মিথ্যে বলছি!
মিথ্যে বলার কী যে প্রয়োজন!
মিথ্যে বলার কারণ তো লাভ
আমার কী লাভ বলেই এমন!


আমার যুক্তি কাটতে পারো কী!
কেন চুপ করে থাকছ, বলো তো!
বললেই কেন মিথ্যে বলছি!
কেন বলো অযথাই মনমতো!


যদি বলি আমি চোখ দিয়ে দেখি
করবে কী এই কথার বিরোধ!
করবে না, খুব ভালো করে জানি
এই কথা শুনে জাগে না যে ক্রোধ।


হিংসা ঈর্ষা মানুষেরই থাকে
কেন থাকে এই প্রশ্ন হয় না
দূর করে দেওয়া মানুষেরই কাজ
কাজ কি কঠিন! মনে তো হয় না।


কোন প্রবৃত্তি কার মনে আছে!
জানতে চাইলে, জানতে পারি কি!
স্পৃহা ঝোঁক অভিরুচি প্রবণতা
নিজ নিজ মনে মনের খোরাকি।


কতটা শান্তি কার দরকার!
কে ঠিক করবে এর পরিমাণ!
এখানেও সেই নিজ নিজ ধারা
তাই অনুরক্তি হয় অসমান।


অপার শান্তি যে চায় জীবনে
সে তো রাখবেই ঈর্ষাকে দূরে
লোভ কম, তাই লাভ নয় সাথী
সে তো সাথী পাবে আনন্দপুরে।


তুমি ধনী হও, আমি ভেবে মরি
এই ভাবনার কী যে মানে হয়!
এটাই হিংসা, ঠিক বলছি কী!
তোমার সংজ্ঞা অন্য কী হয়!


তোমার আমার মনের ক্ষমতা
অসীম বললে ভুলে হবে নাকি!
এই মনই পারে হিংসা সরাতে
প্রয়াস করলে, এতে নেই ঝুঁকি।


সুবীর সেনগুপ্ত