//কেন বাজাও-না আর সেই বাঁশী!//


বাঁশীটা ভাঙেনি, বাজাও-না কেন!
তুমি তো বাজাতে পারো
দেখেছো, বাঁশীটা ভরেছে ধূলোয়
মুছে রাখতে তো পারো!


এই বাঁশীটাই খুব প্রিয় ছিল
মনে পড়ে সেই দিন!
খুঁজতে সুযোগ, কখন বাজাবে
তখন ছিলে অধীন।


আজ তো স্বাধীন, সুযোগ অনেক
কেন বাজাও-না বাঁশীটা!
এই কাজে তুমি পাও আনন্দ
মানবে তুমিও, জানি তা।


বাঁশীটা থাকত তোমার সাথেই
রাখতেও তুমি যত্নে
সারাদিন কত কাজের মধ্যে
থাকতে বাঁশীর স্বপ্নে।


বাঁশী বাজিয়েই মুগ্ধ করতে
সে সব স্মৃতি কোথায়!
এতটাই ভালো লাগতো আমার
ভুলতে পারাই দায়।


দুই যুগ পরে দেখছি তোমায়
অভাব বাঁশীর সুর
যে সুর মেখেই, সবাই দুলত
তার থেকে কেন দূর!


কী সেই কারণ দিয়েছে আঘাত
ছিনিয়ে নিয়েছে বাঁশী!
তুমি বলবে না, জানতে দেবে না
কারণটাই যে বাসি।


স্মৃতি মুছে ফেলে, তুলতে পারো-না
আবার বাঁশীটা হাতে!
পারো-না কি দিতে সুর ও ছন্দ
অতীতের বাঁশীটাতে!


কী ভীষণ মনোকষ্ট তোমার!
আমি চাই, দূর হোক
তুমি তা চাও-না, কেন কেন কেন!
মানাতেই চাও শোক।


উপহার দিতে চাও বাঁশীটাকে
সেটাই বলছ বারবার
এ কী যন্ত্রনা দিচ্ছ আমায়!
বোঝা হয়ে হবে ভার।


তোমার দুঃখ বাড়াব না আর
বাঁশীর কাহিনী শেষ
দিয়ে দাও তুমি এই উপহার
নিলাম এটাই, বেশ।


সুবীর সেনগুপ্ত