কোন কথা সাধারণ!


সাধারণ কথাগুলো, জোড়া দিয়ে দিয়ে লিখি
তারপরে খুঁজে যাই, মানে কিছু হয় নাকি।


যখন মানে না পাই, ভেঙ্গে ফেলি জোড়গুলো
আবার নতুন ভাবে, জুড়তেও লাগে ভালো।


সাধারণ কথাগুলো, সংখ্যায় কত হবে!
গুনলেই জানা যাবে, কিন্তু গোনা কি যাবে!


কোন কথা সাধারণ, জানাবে কি অভিধান!
শুরুতেই এল বাধা, কে করবে সমাধান!


যে কথা সকলে জানে, তাই হবে সাধারণ
আমি তা মানতে পারি, মানবে কি জনগণ!


আর কি প্রকার আছে, এর সমাধানে যেতে!
তোমরা জানাবে নাকি, তোমাদের মত এতে!


প্রতিদিন যে যে কথা, বলি ঘরে বাইরে
সেগুলো যে সাধারণ, তাতে ভুল নাইরে।


তবু আমি বলব, এই প্রকরণে খাদ
আসলে শুদ্ধ কথা, হতেই পারে বিবাদ।


যে যে কথা আমি ভাবি সাধারণ, তাই কি!
কারো মত বিপরীত হয়ে গেলে, ভয় কি!


সে পাবে না সাজা, আর আমিও পাবোনা সাজা
স্বমতের সাথে সাথে, জীবনে বাঁচাই সোজা।


কতবার ব্যবহার, হয়ে গেল কোনো কথা
সেটাই কি মাপকাঠি, যাতে সাধারণ গাঁথা।


লিখতে বসেই, যাঁকে খুঁজতে হয় না কথা
আমার মতন সে তো, খুঁজবে না কোনো কথা।


সাধারণ কথাগুলো, সব কি হয় সরল!
কিছুতেই হবে না তা, কিছু তো হবে বিরল।


কথা, কাজ ও ব্যবহার, সব সাধারণ চাই
ব্যাখ্যাতে সাধারণ, চাইছি তো বোঝাতেই।


অর্থের ছড়াছড়ি, হলেই অসাধারণ
গরীব হলেই হবে, সব কিছু সাধারণ।


সকলেই যদি বোঝে, কোনো কথা একবারে
সেই কথা সাধারণ, সমাজের পরিসরে।


সুবীর সেনগুপ্ত