//লেখা দর্পণ, লেখা বিনোদন//


লেখা পছন্দ করে না সবাই
এটা ভুল নয়, মনে হয় তাই
লিখতে চায় না, যে মানুষজন
তাঁরাও কাটায়, রম্য জীবন।


নিজের নামটা, লিখতেই হয়
কত কারণেই, কত জায়গায়
সেটাও তো লেখা, সংজ্ঞাকে ধরে
কিন্তু লেখা কি, আদরের ঘরে!


কিছু লোক আছে, যারা অশিক্ষিত
আঙুলের ছাপে, তারা পরিচিত।
তাদের থাকেনা, লেখার বালাই
ভাব বিনিময়, করে কথাতেই।


ভাবনাকে, রূপ দেওয়ার জন্য
লেখা ছাড়া কিছু, আছে কি অন্য!
কথা কি দেয় না, ভাবনাকে রূপ!
নিশ্চিত দেয়, হয়ও অরূপ।


লেখক কবির, সংখ্যা অল্প
কেউই খোঁজে না, এর বিকল্প
তবে অনুভব, করতেও পারি
যাঁরা লেখে, তাঁরা লেখার পূজারী।


লিখতে লিখতে, লেখা হয় নেশা
কিছু লেখকের, হয়ে যায় পেশা
ভাবনাগুলোকে নিয়ে চলে খেলা
কাগজে বন্দী, ভাবনার মেলা।


লেখার সঙ্গে, থাকে যোগাযোগ
তাঁদেরই, যাঁরা লেখা করে ভোগ
লেখায় তাঁদের, নেই আগ্রহ
পড়াই তাঁদের, জীবনের মোহ।


পড়ায় লেখায়, নেই আগ্রহ
এমন লোকের, সংখ্যা প্রচুর
তাঁরাও জীবনে, সফলতা পায়
পায় আনন্দ, খুশী ভরপুর।


তাহলে কি লেখা, মূল্যবিহীন!
এই উক্তিকে, মানবে কি কেউ!
ইতিহাস আছে, লেখার সাক্ষী
লেখাই আনছে, প্রগতিতে ঢেউ।


লেখা দর্পণ, লেখা বিনোদন
লেখা নিয়ে কাটে, অজস্র ক্ষণ
যে লিখতে চায়, তার কাছে লেখা
অনন্ত খুশী, নেই সীমারেখা।


সুবীর সেনগুপ্ত