//নিয়ামক, তবু অন্যের ছক//
মানতে চাইনা, মানা হয়ে যায়
জানতে চাইনা, হয়ে যায় জানা
করতে চাইনা, করা হয়ে যায়
এ কেমন বিধি! সেটাই অজানা।
মানতে চাইলে, বাধা এসে যায়
জানতে চাইলে, অজানাই থাকে
করতে চাইলে, করতে পারিনা
অদৃশ্য চাদর ইচ্ছাকে ঢাকে।
নিজ ইচ্ছার সাথী কী যে হবে!
নিজের ইচ্ছা একেলাই রবে!
ইচ্ছাপূরণ কে আর করবে!
সব কী নিজেকে সামলাতে হবে!
আমার ইচ্ছা আমি সামলাব
একেবারে ঠিক, আমি তা মানবো
সব ইচ্ছা কী সামলানো যাবে!
যাবে না যাবে না, জেনেই থামব।
সব ইচ্ছা কী এক ধরণের!
এমন প্রশ্ন হবে অধমের
কয়েক ইচ্ছা নিজে সামলাই
বাকী ইচ্ছাতে ভর অন্যের।
সব ইচ্ছার পূরণ হয় না
আমার মতন তুমিও পারোনা
তোমার আমার কারণে সমতা
দুজনেই ঠিক পথে কী চলিনা!
কখন কী ভাবে ইচ্ছা যে জাগে!
কোন ইচ্ছা যে যায় কার ভাগে!
ইচ্ছাকে নিয়ে যত আলোচনা
অন্তে কী যায় শুধু অভিযোগে!
ইচ্ছা কী নয় পূর্ণ স্বাধীন!
স্বাধীন, কিন্তু মনের অধীন
মন কার! সে তো তোমার আমার
ইচ্ছাকে নিয়ে আমরা স্বাধীন।
অনেক জানব, অনেক মানব
সাথে সাথে তাল মিলিয়ে চলব
করব অনেক, তাও নিশ্চিত
অনেক অনিচ্ছাতেও করব।
আমার জীবন, আমি নিয়ামক
তাও তো মানছি অন্যের ছক
কেন মেনে নিই! প্রশ্ন নিজেকে
জীবনে থাকেই আপোষ ব্যাপক।
ইচ্ছার পাশে আছে অনিচ্ছা
কোনটা কখন দেবে যে টেক্কা!
মন যেটা চায়, সেটাই হয়না
খেলতেই হয় এক্কা-দোক্কা।
ইচ্ছার চাবি কখনো হারায়
কেউ কী কখনো চুরি করে নেয়!
কে জানে কী হয়! বলা মুশকিল
কিন্তু পরের ইচ্ছা ভাবায়।
ইচ্ছাকে রেখে নিজ আয়ত্তে
যদি পারা যায় জীবনে চলতে
ইচ্ছাকে নিয়ে জীবন স্বাধীন
জীবন চলবে পুরো নিজ মতে।
সুবীর সেনগুপ্ত