ওই যে আমার এই জীবনের রত্ন
করতেই হবে ওকেই আমার যত্ন|


ওই তো আমার এই জীবনের সাথী
ওকে নিয়ে আমি করবই মাতামাতি|


ওর ভুলগুলো, দেখব অন্য চোখে
বুঝিয়েও দেব, ভুলগুলো থেকে থেকে|


ওই তো আমার সহধর্মিনী হয়েছে
চলার প্রেরণা দিয়ে আপ্লুত করেছে|


ভুল দেখা নয়, সহচরে পাই স্পর্শ
নির্জনতায়, হই না তো আমি নিঃস্ব|


কি ভাবে যত্নে রাখব, সেটাই প্রশ্ন
ওর যা চাহিদা, তাও তো অতি সামান্য|


ওর জীবনে কি, আমিও হয়েছি রত্ন!
বুঝতে তো পারি, যুগলে দেখছি স্বপ্ন|


আমরা হয়েছি, একে ওপরের জন্য
যখন তখন, খুশীতেও হই বন্য|


আমরা দুজন, করিনি স্বর্গ রচনা
কিন্তু গড়েছি আনন্দ ঘর, ঘটনা|


আসলে বুঝেছি, এই জীবনটা নশ্বর
চাইনা আনতে, খুশীতেও অবসর|


ছোট্ট রত্ন, উভয়ের ছিল কামনা
তাই পেয়ে, দূর হয়ে গেছে সব যাতনা|


এই রত্নেই, পূরণ হয়েছে চাহিদা
মনের মধ্যে, নেই একটাও দুবিধা|


রত্ন হবে না পুরোনো, সেটাও বুঝেছি
নতুনের মতো, আমরা দুজনে রেখেছি|


আমাদের কাছে, আমরাই এ জগৎ
রঙ্গীন হয়েছে, তাই কি বহির্জগৎ!


দুজনের কাছে, ছিলাম দুজনে অচেনা
যেদিন এলাম কাছে, মনে হলো খুব চেনা|


সেই পরিচিতি, আজও হয়ে আছে অক্ষয়
ওকে নিয়েই তো, জীবন আমার মধুময়|