পড়তে বারণ! নালিশ আছেই।
।।সুবীর1সেনগুপ্ত।।


যে লেখাটা নয় পড়ার মতন।
লেখাটা না পড়ে থাকাও যায় না
শ্লীল অশ্লীল, যে রকমই হোক
না পড়ে জানার প্রশ্ন ওঠে না।


যে বারণ করে, কি কারণে করে!
পড়া শুরু করে, থেমে তো যায় নি
পুরোটা পড়েছে, তবেই জেনেছে
বাকীরা পড়ুক, জানুক, চায়নি।


লেখাটা কেউ তো লিখেছে, নয় কি!
সময়, ভাবনা, দুটোই দিয়েছে
কেন সে লিখেছে, সেটা সেই জানে
লেখা তাঁর ভাবনাকে জানিয়েছে।


মনের প্রকাশ, অন্যায় নয়
অন্য মনকে জানতেও চাই
তাঁর লেখা আছে, পড়লেই হলো
উৎসাহ দেওয়া চাই পড়াতেই।


সবাই কি দেবে, লেখা পড়ে মত!
এ তো সম্ভব, কখনো হয় না
স্বমত দ্বিমত অমত ছুটবে
বহু তর্কেও, সুরাহা হবে না।


কারো প্রশ্নতে এলে আপত্তি
কেন আপত্তি, বলতেই হবে
আর এক তর্ক, উঠবেও গড়ে
এর পরিনামও থাকবে অভাবে।


লেখা হলো, পরে প্রকাশিত হলো
যা যা হলো, কিছু নিয়ম ধরেই
অভিযোগ নেই, ব্যয়িত অর্থে।
পড়তে বারণ! নালিশ আছেই।


গোপনেই পড়া, ভাবনাও তাই
রাগ,ভয়, আশা, কিছু হতে পারে
প্রভাব যা হবে, সে তো পাঠকের
দেওয়া কেন বাধা, তাঁর অধিকারে!


যত বাধা, তত বাড়ে আসক্তি
এ তো স্বাভাবিক, ডাক দিলে সাড়া
কি উচিত আর, কি যে অনুচিত
বোঝাতে গেলেই, ওল্টানো ঘড়া।