এবার তাকিয়ে দেখো কবিরাণী,
মৃদুমন্দ বাতাসের সারাবেলা ভাবনায়।
আমার এপাশ ওপাশ পৃথিবী অন্ধ হয়ে রয় প্রেম বিহীন! গাছের পাতা থেকে ঝুলে যাওয়া শিশির কণার আশায় পিপাসিত মাটির বুক গলে গলে জল করার নাম জীবন। যে জীবনে শুধু জল আর ছল!
উনয় বিনয় সময় যখন একটি রাত সৃষ্টিকর্তার হাতের তালুয় নেচে বেড়ায়! গুছিয়ে আনতে আনতে আমি তখন ঘুমুতে শিখে গেছি ।তোমার নামের ধ্বণি যেনো প্রেমের প্রতীক! রূপালী আলোমাখা রাতে ঘোর কবিতার পাতায় যে ছায়ামূর্তি সে তোমারই অবয়ব। আমার আকাশ বলে যখন কিছু ছিলোনা তখন চাঁদ কেমন দেখিনি, রাতের পর রাত ডায়রীর পাতায় পাতায় যে কান্নার শব্দ ছিলো তা মুঁছে গেলো গোপনে, অনুরূপ তোমার আগমনে!
আমি তো কেবল স্বপ্নের ই দাস।
দাসত্বের ধুলোতে পড়ে থেকেও আমার অনন্ত চাওয়া, যার কোন শেষ নেই অপূরণ স্বপ্ন দেখায়! এখন স্বপ্ন মানে শুধুই বেঁচে থাকা। আমি তো প্রাণ করেছি মাটির মতো, লাঙ্গলের চির ছোঁয়া বুকে শুধু তোমারই নাম! তুমি কেনো বুঝতে পারোনা?
জীবনকে হাতের মুঠোয় ভরে গলতে থাকি তোমার মাঝে, কিন্তু দেখো-
আমার কোনো নিজস্ব  রং নেই,
তুলি নেই, তবুও স্বপ্নের সবুজ অার রক্তজবা বুকে আমার সকাল বিকেল বৈচিত্র আঁকি।কবিরাণী আমি খেলাঘর বাঁধি মরুর বালি দিয়ে,যখন তোমার অন্তরীক্ষে নিয়েছি আশ্রয়,তোমার দীপ্তি মেখে সুর হয়েছি বিভাবরী এ পারাবারে , তোমার আগমন ভাবনায় নীরদ বিগ্রহ মনের লহরে অরণ্যে উঠে দোল। বেহেশতের অনিল জুড়ে হাসনাহেনার আদ্যন্ত স্বরূপ যাঁর ভাবনার নেশায় আমি জাজ্বল্যমান প্রেমের ভাবুক।
অনিবার্য এ প্রেম; কখনোই পূর্ণতা নেই!
তবুও জীবন্মৃত থেকে স্বপ্নই হোক চৈতালি প্রেম। আমাদের বুঝি হবেনা দরশনে নিবেদন! একটা উনুক্ত চরিত্র ভিতর
আবিষ্কার করি স্বপ্ন। আমি বসন্তের যোগাসনরত লাল চোখে খুঁজে বেড়াই সর্বস্ব অস্তিত্ব।আমি দাসত্ব বিনিময় করি দাসের অনুরাগে। আমি সময়কে ফেরী করি অদৃশ্য ফেরার তাগিদে। ভালোবাসা না পূরায় জীবন, সেটা তো প্রেম নয় একটা নিয়ম যেটাতে প্রেম বাঁধা। আমি তো জীবনের হারানো গন্ডিতে দাগ এঁকে যাচ্ছি তোমার প্রশ্বাসের ভিতর,ভাবনার হাওয়ায় বসে যারা ভাবে তারা কেবলই ভিন্ন, আলাদা নিয়মে জীবনের পথ-আলপথ। সেটাতে ভালোবাসা ছাড়া অন্ন কোন নিয়ম নেই যেখানে আমরা  পরম সাথী। তপ্ত খরায় চৌচির ছায়া; রাতের অপেক্ষায় ভাবনায় পোড়ে। অন্তরের ভাঁজে ভাঁজে যাঁর গল্প গাঁথা, পরতে পরতে জলরঙ ছবির মতো যে; সে অদ্বিতীয় কেউ নয়, আপন সত্তায় দখল করেছে মণিকুন্তলা, একমাত্র মৃত্যুর চেয়েও সত্য প্রেমবান এক সূর্য , যে নিজেই জানান দেয় আজানের সময় অসময়, রূপান্তরিত করে নেয় নিজের মতো করে। বুকের রক্তজমাটে যাঁর আয়োজনে দুর্বা ফুটে অনন্তদাস মাটির বুকে সে প্রেম ছাড়া আর কি হিসেব জানে আমার জানা নেই। তা তো ভাবিনা তুমি কবে ভালোবাসতে আসবে! কবে তোমায় ভালোবাসতে পারবো, একা করে কাছে পাবার মতো!
ভাবতে পারিনা তোমার ভালোবাসায় ধন্য হয়ে বেঁচে থাকার মতো প্রেম কভু আসবে।
আমি ভাবি, হৃদয় যে কারণে কবর হয়ে আছে তাঁর শূন্যতা কখনো পূরণ হবার নয়?
সকল নির্জনতা যাঁর ভাবনায় মুখরিত থাকে মন;আমি তাঁর জন্যই সুখ-দুঃখ হই।কবিরাণী- যে নিজেই প্রেমে আকুল, সে প্রেম ছাড়া বুঝেনা নিজে!


কবিরাণী
যোশেফ হাবিব