একদিনের জন্য আর বাঙালি সেজো না ,
অযথা শরীরকে  শাড়ি পাঞ্জাবিতে সাজিও না ,
কথা বার্তা চাল-চলনে
পশ্চিমি পুষে রেখে মনে মনে
বাঙালিয়ানা করে আসছো ব্যঙ্গ ,
একদিনেই বাঙালিয়ানায় উজ্বলিত সর্বাঙ্গ?
বাংলাটাও ঠিক মতো জানো না ,
shubha Nababarsha লেখা ছাড়া -
বাংলার কিছুই আসে না ,
তাও আবার ইংলিশ আলফাবেটে
শুভেচ্ছা জানিয়েই কেল্লাফতে ?
যত টুকু ইংলিশ জানো সব টুকু উজার করে
সামনের মানুষকে বোঝাতে চাও তুমিই  সেরা ,
বাঙালি মানুষের সামনে দুটো শব্দ ব্যবহার করে
মানুষটাকে না ,ভাষা টাকেই অপমান করে বসলে খেয়ালই করোনি তুমি ।
কেউ ম্যাগীর জায়গায় সকালে
ঘুগনি মুড়ি খেলে -
এমন করে তাকাও  যেন তোমার ভাগ্য খারাপে এসব  দেখতে হলো ।
ওই যে বন্ধুটা শর্টসের এর জায়গাতে লুঙ্গি পড়ে বলে প্রতি মুহূর্ত লজ্জা আর অপমানবোধ করাও
সেই তুমি আজ একদিনের জন্য সেরা বাঙালী হয়ে উঠতে চাও !
সেই বান্ধবীটা হাজার শার্ট প্যান্টের ভিড়ে
এসেছিল চুড়িদার পড়ে  ,
তারপর কথার ইঙ্গিত -ইশারায় -
কাউকে এতটা অপমানবোধ করায় ?
তোমরা করিয়েছিলে ,প্রিয় নাম ধারী বাঙালী ।
সে বাঙালী মেয়ে ,দুর্গার বাস তার মনে
সব কিছুকে ছুড়ে ফেলে আজও বাঙালিয়ানাই পুষে রেখেছে মনে মনে ।

যুগের সাথে তাল মেলাতে মা কে মাম্মি না বানালেও পারতে ,
বাবা শব্দটার গভীরতা বাবাতেই রাখতে !
'Hey' না  ' ওই ' বলেই ডাকতে
"হ্যারি পটার"এর সাথে "শরৎচন্দ্র সমগ্র " চাইলেই রাখা যেত ।
সব কিছু গ্রহন করতে হবে নইলে পিছিয়ে থাকবে এটা সবাই জানে ,
তাই বলে হাজার বছর ধরে বেঁচে থাকা সংস্কৃতিকে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করার কী মানে ?
ওই মানুষটার মতো বাঙালি হতে পারবে না জানি ,
কিন্তু তার বাঙালিয়ানাকে শ্রদ্ধা করো 'স্ব-ঘোষিত' জ্ঞানী !
শুভ নববর্ষে গর্ব করো বাঙালী ,
সারা পৃথিবী তোমাকে এক নামেই চেনে "বাঙালী ।"
লাড্ডু আর ক্যালেন্ডার হাতে নেওয়ার আগে ,
বাঙালীয়ানা যেন হৃদয়ে তোমার জাগে ।