পোয়াতি মেয়েটা
সারারাত জেগে বসে বারান্দায়।
স্বামী তার দূর শহরে।
টিভিতে বলছে
সেই শহরেই কি যেন
জঙ্গিহানা।
জঙ্গি কি মা?
মেয়েটা বলে।
কতবার বলেছি
তবুও শোনেনা
ফোনটা ধরেনা ঠিকমতো।
বসে থেকে চোখটা
লেগে এসেছিল
খানিকটা।
তখনই এল ফোন।
ওর সঙ্গে যারা ছিল
তাদেরই কেউ।
খবরটা ছড়াতে
সময় লাগল না
একে একে
ভিড় জমতে লাগল বাড়িতে।
পাড়া প্রতিবেশী
আত্মীয় স্বজন
নেতা মন্ত্রী বাদ গেলনা কেউ।
মেয়েটা নির্বাক।
পাথরের মতন বসে থাকে উঠোনে।
থেকে থেকে পেটের ভিতর যে প্রানটা আছে
লাথি মারছে বারবার।
সব হা হুতাশ আশ্বাস ছাপিয়ে
মেয়েটা শুনতে পেল
কে যেন বলছে
শক্ত হও মা
আমি আসতে চাই
হিংসা বিহীন
এক নতুন পৃথিবীতে।
মেয়েটা উঠে দাঁড়ায়।
ঘরে ঢোকে।
দুহাতে পেট চেপে বলে
আমি অপেক্ষায় থাকবো
তোরই জন‍্যে।
উঠোনে তার স্বামীর লাশ
তখন বারোয়ারি।