ছেলেটাকে চিনি
অনেক কাল।
আর পাঁচটা ছেলের মতন না
একটু আলাদা
কবিতা ছিল তার প্রান
সবেতেই খুঁজত জীবনের ছন্দ।
কবিতার জন্যই
ছুটে যেত এখানে সেখানে।
বকাও খেত বাড়িতে কত
তবুও ছিলনা
উৎসাহের অন্ত।
বাবা বলেছিল
ওসব কাব‍্যি করে
পেট ভরবে না
কাজের চেষ্টা করো।
দীর্ঘশ্বাস ফেলে মা
বলেছিল তোর বন্ধুরা সব....
কবিতাই ছিল ছেলেটার
মুক্তি। আলোর পথ।
এরপর গল্পটা অনেক রকম হতে পারতো।
হয়তো ছেলেটা এখন
অন্ধকার ছাপাখানায়
কাজ করে
বা সে এখন নাম করা
কোনো কবি
আত্মজীবনীতে লিখেছে সব।
কিন্তু না সেরকম কিছুই হয়নি তার মধ্যবিত্ত সাদামাটা জীবনে
সে এখন পাকা ব‍্যবসায়ী
কড়ায় গন্ডায় করে
লাভ ক্ষতির হিসাব।
কবিতার খাতা গুলো
হারিয়েছে কবেই।
গদ‍্যময়  জীবনে
কবিতা আজ
অপ্রাসঙ্গিক
তবুও আমরা যারা
অনেক কাল ওকে চিনি
পুরনো কথা উঠলে
এড়িয়ে যায়
বলে থাক না।
নাইবা হলো আলোর
পথে হাঁটা
নাইবা পেলাম মুক্তির স্বাদ
নিশ্চিন্ত জীবনযাপন আজ
কবিতা না হয় বাদ।