গেল গেল চিৎকারের মাঝে
বাস থেকে ছিটকে পড়লো লোকটা
তার জীবন আর মৃত্যুর মাঝে
তফাৎ ছিল এক মূহুর্ত্তের।
যাবতীয় বকুনি আর সদুপদেশ
তাকে স্পর্শ করছিল না।
ফ‍্যালফ‍্যাল করে তাকিয়ে ছিল লোকটা
হয়তো বা নিজের গায়েই নিজে
চিমটি কেটে বোঝার চেষ্টা করছিল
সে সত্যিই বেঁচে আছে কিনা।
একটা নিশ্চিত মৃত্যু দৃশ্য
দেখার হাত থেকে বেঁচে
দ্রুত এগিয়ে চলি গন্তব্যে।
কিন্ত্ত একটা প্রশ্ন ঘুরপাক
খায় মনের ভিতরে।
সত্যিই কী আমরা বেঁচে আছি?
আজকাল আর বুঝতে পারিনা।
চারপাশে সবাই কেমন যেন মৃতবৎ।
বাসী মড়ার মতন
বেঁকে গেছে মেরুদণ্ড
একেই কি বলে আপস ?
সকাল থেকে রাত পযর্ন্ত
তাই আপস করে চলি সর্বত্র
এমনকি নিজের সঙ্গে ও নিজে
আপস করি অনবরত।
কিন্তু কেন?
শুধুই কি একটু ভালো থাকার জন‍্য
এই মৃতবৎ বেঁচে থাকার তাগিদ?
হয়তোবা তাই।
আমরা রপ্ত করেছি
গা বাঁচিয়ে চলার কায়দাকানুন
সাপের মতন চোখ খুলে
শীতঘুমে কাটিয়ে দিই জীবন।
প্রতিবাদ  প্রতিরোধ সংগ্ৰাম
এই শব্দগুলো আমাদের কাছে
আজ অপ্রাসঙ্গিক।
আসলে আমরা বাঁচি মড়া হয়ে
আর মরে গেলে বেঁচে যাই।