বসন্ত যে যায়
রাধিকে, বসন্ত যে যায়।
কানাই বুঝি আসবে না আর-
তোমার আঙিনায়,


সব ভুলেছ, কিছুই কি আর – মনে পড়ে না-
এ পোড়া মন কেন কিছুই ভুলতে পারে না।
একলা ছিলাম,
ভালোই ছিলাম।
কেন তুমি এলে-
দেখা হল তোমার সাথে বসন্ত বিকেলে।
আমার বন্ধু বিশাখার – তুমি কেমন দাদা।
তুমি তো মাধব – আমার নাম রাধা।
আলাপ করলে নিজেই তুমি
একা পথের ধারে।
আমার মন উথাল পাতাল
ব্যাকুল অভিসারে।


বসন্ত যে যায়
রাধিকে, বসন্ত যে যায়।
বৃন্দাবন ভুলেছে কানু
গিয়ে মথুরায়।


আমায় তুমি বলেছিলে- মনে পড়ে মাধাব।
আমি চাইলে তুমি, দিতে পার সব।
চাইনি তো কিছুই আমি, ভালোবাসা ছাড়া-
কোথায় তুমি থাকো এখন, কোন গলি-
কোন পাড়া।
পড়াশুনায় ভালই ছিলে গাঁ জোড়া খ্যাতি
পড়াশুনা উঠল শিকেয় আমার দিবস রাতি।
পড়তে যাবে দূর শহরে – অনেক অনেক পড়া।
কেমন করে থাকব আমি- বাঁচব তোমায় ছাড়া-
কেউ ছিল না বাড়িতে সেদিন- হঠাৎ তুমি এলে
ভালবাসায় সব আগল ছিন্ন করে দিলে।
ছাতের ঘরে চুপি চুপি শরীরে জ্বাললে আগুন।
উদ্বেলিত হৃদয় আমার- শরীরে জুড়ে ফাগুন।


বসন্ত যে যায়
রাধিকে, বসন্ত যে যায়
মুখপুরি তোর মুখ পুড়ল
কৃষ্ণ সাধনায়।


সব দিলাম, দিলাম আমার সমস্ত উজাড় করে
ফিরে তুমি এলে না- আর, আমায় নষ্ট করে।
আমি এখন সত্যি নষ্ট -
শরীর বেচে খাই।
আমার ঘরে রাসলীলা -
শুধু মাধব নাই।
আগুন নিয়ে করতে খেলা -
কাটল যে ফাগুন বেলা,
কিসের আশায় রোজ দুবেলা
বেঁচে থাকি আমি -
আমার মাধব পর হয়েছে -
অন্য কারও স্বামী।


বসন্ত যে যায়
রাধিকে, বসন্ত যে যায়।
যতই তুমি জ্বলে মরো
জ্বলে পুড়ে ছাই-
তোমার মাধব পর হয়েছে,
মন তোমাতে নাই।