আমি জয়, লেগেছিলাম ঠিক পেছনে,
একদিন এলো আকাশবাণী ' শোন জয়'।
একেমন ফেনোমেনা, পেলাম বেশ ভয়,
এমনও কি হয়?
ইতস্তত আমি কিছুটা এগুতেই
নেমে এলো শোলার বৃষ্টি।


শোলায় ভেজা শ্বেতশুভ্র গোঁফদাড়ি,
        হয়ে কিছুটা আনাড়ী
       ভাবি কি করে পৌঁছুই বাড়ী,
  শোলার তুষারে আটকে দূরদৃষ্টি।


ঘর্মাক্ত, ক্লান্ত এবং পরিশ্রান্ত,
মনটা করে শক্ত
খিদের চোটে
একমুঠো শোলা মুখে পুরি।


ওমা! এতো নয় শোলা
কিংবা বাদাম ছোলা
C2H5OH এ ভেজা গুলকোছ বড়ি।


সে বড়ির স্বাদে
বাড়ী যাওয়া বাঁধে,
দেখি সম্মুখে দাড়ায়ে ঝক ঝকে তরোয়ারী,
    সেকি তার শান।
মৃদু স্বরে কহে '  শোন জয়'
    'আমি হ্যানিমান',
আর ' তুই ফল খেকো, দূর্দেশি
    হনুমান '।


রাগেতে জলে গা,
থর থর কাপে পা,
দিলনা একফোঁটা মানসম্মান।


শুরু লেজে লেজে লেজালেজি,
     ঠিক যেনো সাপ বেজি,
চলে দড়ি টানাটানি,
দিন শেষে রাত হয়
ধুলো ওড়ে ঝড় বয়
তবু দুজনেই সমানে বিদ্যমান।


কয়েক বছর ধরে
      মারামারি করে
       গুলকোজ শেষ হয়
       ভাঙ্গা তনু মনে।


হ্যানি বলে , 'শোন জয়'
মেনে নে পরাজয়,
    আর মারামারি ছেড়ে,
      চল যাই ফিরে,
      কবিতার পর্টালে
       লিখি তাড়া তাড়ি।


আমি পরাজিত হয়ে
Thumbs up করি,
        কচি ভাব জুড়ি।
ভুলেও বলিনা আর
        রাগ ভরা আড়ি।