স্কুল ফেরত উদাসী চিঠির খামের মতো ক্লান্তিহীন চোখ দুটি,
মেঘ জমানো রাংতাতে ,ইচ্ছে ঘুড়ির চাঁদ ছোঁয়াচে স্বপ্নটি ।।
সেই ছেলেবেলা "আর কাজলা দিদি'র"খোঁজ ।
এখন অনেক দিদির মাঝে তোকেই পাই রে রোজ ।।


ঠিক ঠাক পরে না মনে আমার এখন ,বয়স আমার ছিল নাকি  আট।
বৈশাখের কোন এক রৌদ্রতপ্ত দিনে ,আমাদের বাড়িতে অনেক লোকের হাট ।।
সানাই বাজছে ,সঙ্গে অনেক উলু ধ্বনি ।
তারপর একদিন সিনিং ফ্যানে উদ্ধার তোর দেহখানি ।।


তোর তো দোষ ছিলনা কিছুই বয়স ছিল পনেরো ।
বর পক্ষ খুব ভালোও নাকি,চেয়েছিল তিন ভরি আর একলাখ তেরো।।
তেরোটাই সেদিন দিতে  পারেনি কো বাবা ।
তোর গায়ে বেল্টের দাগ ,ছ্যাঁকা লাগা তল পেটে ,এটাই তোর নাকি সাজা ।।


আজ তেইশ বছর পরও ,আর কেউ আদর করে ডাকে না ভাই বলে ।
মাকে সেই ছোট্টবেলায় জিজ্ঞেস করতাম "মা দিদি কই" মা আঁচলে
মুখ লুকিয়ে বলত "দিদি ওই আকাশে গেছে চলে "।।
এখন আর জিজ্ঞেস করি নাকো বুঝতে শিখে গেছি সব ।
এখন থাকলে তুই ,তোর গায়ের প্রতিটি দাগের নিতাম প্রতিশোধ ।।