সিনহা জীবন দিয়ে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ থামিয়েছেন,
মুশতাকও কুখ্যাত কালাকানুনের পীড়ন থেকে  
এ নিপীড়িত জাতিকে উদ্ধার করবেন হয়তো বা।    
পীড়নে বিদীর্ণ কর্ণকুহরে জমাটবাঁধা পুঁজের
অসহনীয় যন্ত্রণা জেল প্রকোষ্ঠে বয়ে বেড়ায়
কার্টুনিস্ট কিশোর। আদালত প্রাঙ্গণে ছয়বার
জামিনের আবেদনে ফেল হওয়া তার আর্তনাদ  
অবশেষে বধির এ জাতি যেন শুনতে পেলো!  


এখন সুশীলরা যেন আচমকা নতুন করে জানলো,
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটা নির্দয় আইন বটে!
শাসকদেরও বোধোদয় হলো,  
তাই বুঝি এখন অতি তাড়াহুড়ো চলছে,
এই অসভ্য আইনটাকে ঘষে মেজে কী করে
কিছুটা সভ্যতার লেবাস পরানো যায়!


আগুন ঝরা ফাগুনের এইসব দিনগুলোতে
বাংলার জনতা ঐতিহাসিকভাবেই উত্তাল হয়।
একাত্তরের মার্চে হয়েছিলো, এবারে একুশেও হলো।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে জাতির এ যেন দ্বিতীয় বিজয়!


ঢাকা
১৮ ফাল্গুন ১৪২৭
০৩ মার্চ, ২০২১


(এ লেখাটা প্রকাশিত হবার কিছুক্ষণ পরেই খবর পাওয়া গেল, সপ্তম বারের প্রচেষ্টায় আজ দুপুরে কার্টুনিস্ট কিশোর এবারে জামিন লাভ করেছেন। উনি এবং লেখক মুশতাক আহমেদ একই দিনে একই আইনে অভিযুক্ত হয়ে  এ যাবত একই কারাগারে আটক ছিলেন এবং তারা উভয়ে গত দশ মাস যাবত জামিন লাভের জন্য যুগপৎ আবেদন জানিয়ে বিফল হয়েছিলেন। অবশেষে একজনের জীবন বিসর্জনের মাধ্যমে অপরজনের জামিন অর্জন সম্ভব হলো, এতদিন ধরে যা হয়নি! মুশতাকের আত্মদানের এটা প্রথম সাফল্য।)