আমার বাসায় আছে যে এক ছোট্ট ফোকলা বুড়ি
দাঁতগুলো তার শক্ত ছিল, যেন ছোট্ট পাথর নুড়ি।
ঘুমের আগে দাত মাঁজতে বলা হতো তাকে
প্রথম প্রথম মাজতো ঠিকই, ছোট্ট ব্রাশটি হাতে।


ধীরে ধীরে ফাঁকি দেওয়া শিখে গেল সেই বুড়িটা,  
দাঁত না মেজেই নানান ছলে এড়িয়ে যেত নজরটা।    
তাই ঘুমের সময় থাকতো লেগে দাঁতে তার চকলেট,  
চুইংগাম ও খাদ্যকণায় লাগতো না কোন ব্রাশ-পেস্ট।    


এভাবেই সেই ছোট্ট বুড়ীর দাঁতগুলো সব ক্ষয় হলো,    
ক্ষয়ে ক্ষয়ে ছোট্ট হয়ে হঠাৎ হঠাৎ পড়ে গেল।
নড়বড়ে যে কয়টা ছিল তা উপড়ে ফেলা হলো দায়,  
কারণ কান্নাকাটি আর চিৎকারে বুড়ীটা যে ঘর মাতায়।      


তার দাঁতের নীচে দাঁত উঠছে, এটা যখন বোঝা গেল,
ডেন্টিস্ট এর কাছে তাকে দাঁত তুলতে নেয়া হলো।  
তিন তিনটে দাঁত তোলার পর বুড়ীর কথা বোঝা দায়
আধেক যদিও যায় বা বোঝা বাকি আধেক ঊহ্য রয়।


ঢাকা
৩০ মার্চ ২০২১