মধ্য ষাটের এই বয়স কালে
আছি তো বেশ রাজার হালে!
ক্ষুধা পেলেই খাবার চাই,
চাওয়া মাত্র পেয়েও যাই।


যখন গুরুর কথা মনে আসে,
তার কষ্টে মনে দুঃখ ভাসে।
তার রসুইঘরে গিন্নী নাই,
বেড়ে খাওয়াবার প্রশ্ন নাই।


তবে একটা মজা তুলনাহীন,
কোন শাসন ছাড়া সে স্বাধীন।
কোন কিছুতেই তাড়া নাই,
ঘর গোছানোর দায় নাই।


নিজের ঘরের ম্যানেজারি,
নিজেই করে এই বেচারী,
দিনের কাজ রাতে করে,
রাতের কাজ দিনে ধরে।


কাজের মাঝে যদি সে পায়
বন্ধু কোন তার বাসায়,
সে গল্প করেই কাটায় দিন,
জমায় আলাপ অন্তহীন।


পড়ুয়া গুরুর কষ্ট হয়,
যখন পড়তে পড়তে তেষ্টা পায়
তাকে জল আনতে উঠতে হয়,
নইলে তেষ্টা নিয়েই থাকতে হয়।


যখন লেখা পড়ায় আত্ম-মগন,
থাকে গুরুর মন ও মনন,
তখন ভুলে সে যায় নিত্য আচার
নামায কালাম খাবার দাবার।


জ্বর জারিতে হলে কাতর
সে কষ্টে বাঁধে বুকে পাথর।
তার কী হয়েছে, একটু নুয়ে
কেউ দেখে না কপাল ছুঁয়ে।


এমন কষ্ট মাঝেও গুরুর মুখ
হয়না মলিন, অসুখ বিসুখ
ধৈর্য ধরে সে করে পার
এক ভরসায়- আল্লা খোদার!


আমার এক অকৃতদার বন্ধুর প্রতি এ ছড়াটি উৎসর্গিত হলো, যিনি এখানে গুরু নামে আখ্যায়িত হয়েছেন।


ঢাকা
১৭ নভেম্বর ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।