মানুষের মুখের ভাষা
তার দেহের ভেতরে বহমান শোণিত ধারার মতই।
রক্তের যেমন শ্রেণীভেদ আছে,
তেমনই আছে মুখের ভাষার।
এক শ্রেণীর রক্ত যেমন অন্য শ্রেণীর সাথে মেশেনা,
একের মুখের ভাষাও তেমনি অন্যের মুখে আসেনা।


এই সাধারণ হিসেবটাতে শাসকেরা ভুল করেছিলো।
জোর করে মায়ের মুখের ভাষা কেড়ে নিয়েছিলো।
ভিন্ন মুখের ভাষা জোর করে চাপাতে চেয়েছিলো।
সৃষ্টিকর্তা তাঁর ঐশী জ্ঞানে আর অসীম অনুকম্পায়
মানবজাতির মুখে যথোপযোগী ভাষা দিয়েছেন, কিন্তু
সেটা তারা মানেনি। ফলে, যা হবার তাই হয়েছিলো!


মাতৃভাষাকে বাঙালি আঁকড়ে ধরে করেছিলো রক্তস্নান,
গুলি খেয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিলো বাঙলা ভাষার সম্মান।
সশস্ত্র সংগ্রামের পরে তারা ছিনিয়ে এনেছিলো স্বাধীনতা,
ঘন সবুজ জমিনের বুকে এঁকেছিলো লাল বৃত্তের পতাকা।
উড়িয়েছিলো স্বাধীনতার জয়ধ্বজা এই বাংলার জমিনে।
লড়াকু বাঙালির মাথা আজ তাই চির উন্নত, বিশ্বভূবনে।



ঢাকা
০৯ ফাল্গুন ১৪২১
২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৫
(একুশের প্রথম প্রহরে)
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।