প্রদীপের কাজ আলো জ্বালিয়ে রাখা।  
কিন্তু টেকনাফের একটি ‘অমঙ্গল প্রদীপ’  
ঘরে ঘরে গিয়ে আলো নিভিয়ে আসতো,
নারী শিশুর কান্না তাকে রুখতে পারতো না।


মাত্র বাইশ মাসে দুইশ চৌদ্দটি প্রাণপ্রদীপ
সে একে একে নিভিয়ে দিয়েছিল নির্দ্বিধায়!
একটা একটা করে প্রাণ নেভাতে নেভাতে
তার দুঃসাহস উঠে গিয়েছিল পর্বত চূড়ায়!  


গত চাঁদরাতে সে আঁধারে ঢেকে দিয়েছিল
উজ্জ্বল এক নক্ষত্রের আলো। শেষ রশ্মিটুকু  
বিলিয়ে দিয়ে, সেই নক্ষত্র জ্বালিয়ে গেছে    
লক্ষ দীপের আলোকশিখা, ঘর থেকে ঘরে।


বাংলার ঘরে ঘরে, পথে প্রান্তরে, সে আলো
আজ ছড়িয়ে দিচ্ছে প্রতিবাদের সৎসাহস,
দুর্নীতি দৌরাত্ম্যের কাহিনী হচ্ছে উচ্চারিত।
ভয়ার্ত মানুষ আজ মুখ খুলছে, কথা বলছে।    


সে ‘প্রদীপ’ মৃতদের বক্ষে ঝুলিয়ে দিয়ে যেত
মিথ্যে অপবাদ ও অপরাধের গ্লানিকর পদক।
যেন মৃতের উত্তরসূরীরা আজীবন নত থেকে
সে নিন্দা ও নোংরা গ্লানির ভার বয়ে বেড়ায়!  


নিয়তির পরিহাস! সে প্রদীপ নিজেই এখন
কারাপ্রকোষ্ঠে মিটিমিটি জ্বলছে, আর ভাবছে,
কখন আসবে অকস্মাৎ সেই দমকা হাওয়া,
যার ঝাপটা তাকেই চিরতরে নিভিয়ে যাবে!


ঢাকা
০৯ অগাস্ট ২০২০