ভাগ্যবানের মাথায় হাত বুলায়,
সুন্দরী স্ত্রী কিংবা অভিসারী প্রিয়া,
কন্ঠলগ্ন হয়ে গুন গুন করে গায়,
'তোমায় পেয়ে ধন্য আমার হিয়া।


মেহেদী রাঙা হাত ও চুরির নিক্বণ,
সেই সাথে পরিশীলিত কন্ঠে গান,
ভাগ্যবানের দু'চোখে তন্দ্রা নামায়
প্রেমের পরশ আর সুরের ঐকতান।


এমন সুখেও তার গভীর নিদ্রা নেই,
বাহুলগ্নার সুরের প্রশংসা করা চাই,
রূপের প্রশংসাও চাই, সেই ভাবনায়
তন্দ্রার রেশ কাটে কথায় কথায়।


অভাগার নিদ্রাসুখ শুধু ওটুকু সময়,
নাপিতের কেচি যখন পরশ বুলায়,
কিচি কিচি মিহি সুরে গান গেয়ে যায়,
রাজ্যের ঘুম নামে চোখের পাতায়।


অসুন্দর হলেও সে যে নরসুন্দর,
মাথাটা সঁপে দিয়ে কিছুটা প্রহর,
অভাগা গভীর ঘুমে হারিয়ে যায়,
কল্পনার ফানুসগুলো শুন্যে ওড়ায়।


নিদ্রাভঙ্গ হয় তার ক্ষৌরকারের ডাকে,
মাথা মালিশের আয়োজন দেখে ভাবে,
যেটুকু সুখনিদ্রা হলো, সেটুকুই বেশ!
বাড়ী ফিরে আসে নিয়ে তারই আবেশ।


সুন্দরীর পরশে ভাগ্যবানের নিমতন্দ্রা,
নরসুন্দরের পরশে অভাগার সুখনিদ্রা।


আদিতমারী, লালমনিরহাট
১৮ আগস্ট ২০১৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।