লাঙ্গল, জোয়াল, মই-নেই কিছু আজ,
"মাহেন্দ্র" পাওয়ার টিলার করে সব কাজ।
বলদের কাজও খুব সামান্যই আছে,
কিষাণ-কিষাণী আর কলুদের কাছে।


ঘন সবুজ ক্ষেতে দেখি টমেটো ও আলু,
তামাকের ক্ষেতে শুধু বালু আর বালু।
নেই সেথা আজ কোন মাটির কুয়া,
আলু ক্ষেতে নেই কোন নাড়ার ধোঁয়া।


কিষাণের সাথে নেই পান্তার থালা,
যদি উদ্রেক হয় তার ক্ষুধার জ্বালা,
'মাহেন্দ্র' চড়ে সে বাড়ী ফিরে আসে,
খেতে বসে একসাথে কিষাণীর পাশে।


কন্ঠে আজ নেই তার ভাটিয়ালী সুর,
হিন্দীই তার কাছে শ্রেষ্ঠ, মধুর।
গুনগুন গান গায়, আর খায় পান,
হুঁকো ছেড়ে সিগ্রেটে মারে সুখটান।


পকেটেতে সেলফোন, ব্রিস্টল প্যাক,
মাথালের জায়গায় ক্রিকেটের ক্যাপ।
ক্ষণে ক্ষণে কাজ ফেলে সারা দিনমনে,
ছবি দেখে কিষাণীর, 'মিস কল' গোণে।


পাদটীকাঃ  শীতবস্ত্র বিতরণ উপলক্ষে লালমনিরহাট জেলার গ্রাম-গঞ্জে ঘুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা থেকে এ কবিতাটি লেখা। ছোটবেলায় দেখা আমার গ্রাম আর এখনকার গ্রামের ছবির তারতম্য কবিতায় তুলে ধরার প্রয়াস পেয়েছি।


আদিতমারী, লালমনিরহাট
২১ জানুয়ারী ২০১৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।