তোমার জীবনের বোঝা অনেক ভারী, জানি।
তোমার দেহে, মুখে তা্রই সুস্পষ্ট প্রতিফলন।
কপালে তোমার দুশ্চিন্তার ছাপ, চোখের নীচে
নিদ্রাহীনতার কালি। দুটি গালই ডেবে গেছে
চোয়ালের ভেতর। মাথার উপরে পীড়িত মা,
যন্ত্রনাকাতর। তাকে নিয়ে চলেছো তুমি এক
অজানা গন্তব্যে, কম্পিত পায়ে, মলিন মুখে।


তুমি যে দিনমজুর নও, তা তোমার  পেশীহীন
বাহু দুটো বলে দেয়। চোখেমুখে অপুষ্টির ছাপ
বলে দেয়, কায়ক্লেশে যাপিত তোমার জীবন।
তথাপি শীর্ণ শরীরে তুমি মাকে করেছো যতন।
মাথায় নিয়েছো তাকে, আহা  কি যতনে তারে
করেছো বহন! মাতৃঋণ লাঘবের এই সাধনা
জগতের সকল পুত্রগণকে দিক অসীম প্রেরণা!


স্রষ্টা আমাদের শিখিয়েছেন এক অনুপম প্রার্থনা।
'হে প্রভু, চাপিওনা মোদের ঘাড়ে এমন বোঝা,
দাওনি যা বহনের সাধ্য মোদের'। এই অমোঘ
ঐশী বাণীর কথা স্মরণ করেই আমি বলতে চাই,
'হে দয়াময়, হও তুমি সদয় এ ছেলেটার প্রতি,
এমন যতন করে যে তার মাকে মাথায় তুলেছে,
তার সকল বোঝা লাঘব করে দাও এই নিমেষে'।


পাদটীকাঃ  জীর্ণ-শীর্ণ দেহের এক যুবক, এ্যাম্বুলেন্সের ব্যয় বহন করার সাধ্য যার নেই, একটি ডালিতে করে তার পীড়িত মাকে মাথায় বহন করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাচ্ছে, ফেইসবুকে এমন একটি চিত্র দেখে অভিভূত হয়ে এই কবিতাটি লিখেছি।


ঢাকা
১৪ অক্টোবর ২০১৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।