ক্রিস্টি, এখন তুমি কেমন আছো, ক্রিস্টি?  
কোন ভূবনে বিচরণ করছো তুমি?
কি আছে তোমার মনোলোকে?
কাকে খুঁজে বেড়ায় তোমার দুটো চোখ?
কি ভেবেই বা ক্ষণে ক্ষণে তুমি মুচকি হাসো?


অথচ, এমনটি তো হওয়ার কথা ছিলনা।
মেধা ও মননে অনন্যা তুমি শ্বেতপরী হয়ে
ছুটেছো এদিক ওদিক, পীড়িতের সেবায়।
হঠাৎ, মস্তিষ্কে দেখা দিল এক অচেনা আগন্তুক
এন্সেফেলাইটিসে আবার অবচেতনে গেলে তুমি।


সেই থেকে, পৃথিবীর ভার নেমে এল তোমার দেহে,
চলৎশক্তিহীন হয়ে গেলে, এপিলেপ্টিক আক্রমণে।
নিমেষেই হয়ে গেলে অবোধ শিশু, হুইলচেয়ার নির্ভর।
ডাক্তার বলে দিল, শুধু খারাপের দিকে যাবে দিনদিন।  
এ ভাবেই স্মৃতি হয়ে যাবে, ক্রিস্টি, তুমি একদিন!    


(ক্রিস্টিকে আমি দেখেছিলাম এক বিষন্ন বিকেলে, আমেরিকার একটি হাসপাতালের শয্যায়। শুনেছিলাম তার করুণ কাহিনী। ত্রিশের নীচে বয়স। নিজে নার্স ছিলেন, তারপর এক কঠিন অসুখে তার নিজের জীবন নার্স নির্ভর। সেদিন ভারাক্রান্ত মনে ফিরে এসেছিলাম হাসপাতাল থেকে। বছর দুয়েক পরে জেনেছি, ক্রিস্টি পরপারে চলে গেছে।)


নিউ ইয়র্ক সিটি,
৩১ মে ২০১৩।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।