সকালে উঠেই চোখ কচলে যদি দেখি, দূর আকাশে
ঘন কালো মেঘের আনাগোনা, আর চারিদিক থেকে
ধেয়ে আসে অথৈ আঁধার, তখন আমার মনের ভেতর
একটা ময়ূর পেখম মেলে আপন মনে নাচতে থাকে।


শ্রাবনের প্রথম শীতল বারিধারাকে স্বাগত জানাতে
প্রকৃতির গাছ গাছালিগুলো যেন উন্মুখ হয়ে থাকে।
ঘনসবুজ ডালপালাগুলো আনন্দে হেলেদুলে নাচে,
পাখীরা খুশীতে হঠাৎ হঠাৎ গান গায়, আসে যায়।


বর্ষার কালো মেঘ দেখলেই, রাজ্যের যত আলস্য  
আমাকে পেয়ে বসে। সব কাজ ফেলে রেখে শুনি
আনমনা যত মানুষ আর হেঁয়ালী প্রকৃতির গান।
কালো মেঘের মাঝে সাদা বক খুঁজে হই হয়রান।


শ্রাবনের ঘনকালো মেঘের গহীনে একটি ব্যাকুল মন
খুঁজে বেড়ায় কেবল একটি নিবিড় আশ্রয়। যেখানে
একান্তে বসে স্মৃতির সাদাকালো এলবামটা খুলে  
সে চোখ বুলিয়ে নিতে পারে, মেঘমেদুর নিরালায়।


বর্ষা আমাকে সৃষ্টির মন্ত্রণা দেয়। আলস্যের মাঝেই
সৃষ্টির উন্মাদনা পেয়ে বসে। শুধু চাই একটু নিঃশব্দ
নিবিড়তা, একটুখানি একান্ত ঠাঁই। বর্ষা এলেই তাই,
আমি একটুখানি প্রাইভেসির খোঁজে অস্থির হয়ে যাই।


*বরষার আয়োজন*


ঢাকা
১৫ জুলাই ২০১৪
৩১ আষাঢ় ১৪২১
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।