আমাদের বাচ্চারা ছোটকালে থাকাতে,
ঘড়ি ধরে বসে তুমি তাদেরকে পড়াতে।
কচি দুটো আংগুলে পেন্সিলটা ধরাতে,
একটুও দিতেনা, সময় মিছে গড়াতে।


সেসময় তারা ছিল আনকোরা ছাত্র,
শিখে নিত ছড়াগুলো মুখে বলা মাত্র।
মাঝে সাঝে হাঁসফাঁস করতো তো বৈকি!
ভাবতাম, বাবুদের কোন নিস্তার নেই কি?


মাঝে মাঝে আমাকেও জ্ঞানদান করতে।
কোথায় কি বলবো তা নিজ মুখে বলতে।
প্রথমে অনীহা হলেও পরে ভেবে দেখেছি,
শেখানো বুলিটা দিয়েই মাত হতো কিস্তি।


জীবনের বহু ঘাটে বহু বার থেমেছি,
জ্ঞানটুকু নিয়েছি, যেখানে যা পেয়েছি।
ঝুলি ভরা সঞ্চয়, তারপরও এখনও,
তাকাই তোমার দিকে যদি ভ্রমি কখনও।


জীবনের পাঠশালায় শিক্ষার শেষ নেই,
যত ভাবি শেষ হলো, হয়না শেষ কিছুতেই।
দিনে দিনে কত কিছু অজানাই  রয়ে যায়,
কিছু বুঝি সহজেই, কিছু বোঝা বেশ দায়।


বোঝার কমতি হলেও চিন্তার কিছু নেই।
ঘরের যে মাষ্টার, সে জ্ঞানদান করবেই।
সমস্যা বুঝে নিবে, শুধু মুখ খোলা মাত্র,
হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে, তার এই বুড়ো ছাত্র।


বোধোদয়ঃ  মহিয়সী মা আর প্রেয়সী স্ত্রীই বুঝি জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষক!


ঢাকা
০৫ আগস্ট ২০১৪
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।