নারী তার নিজ বক্ষ উন্মোচন করে
আপন শিশুকে স্তন্যদান করার সময়,
অকাতরে, স্নেহভরে, পরম মমতায়।
আর করে তার দয়িতের অনুরোধে,
কিংবা স্পর্শসুখের উদগ্র নিজ কামনায়।
চকিত কম্পনে, শিহরণে এবং দহনে।


দুটি ভিন্ন সুখানুভূতির পাহাড় ধরে রাখে
পয়োধরা নারী তার নিজ বুকের গভীরে।
একটির অমৃতধারায় ক্রমে শক্তিশালী হয়
বর্ধিষ্ণু মানবজাতি। মেধায়, অস্থিমজ্জায়।
অপরটির সুখসিঞ্চনে দেহ তার কর্ষিত হয়,
ধরিত্রীর ন্যায় নারীর গর্ভ প্রাণের আধার
হয়ে উঠে। সৃষ্টির পথ সুগম হয়, রোপণ
কার্যশেষে রমণীর রমণপ্রিয় মন তুষ্ট হয়।


ঢাকা
১১ আগস্ট ২০১৪
কপিরাইট সংরক্ষিত।