প্রকৃতির রুদ্র রোষ রোধা সহজ নয়।
নদীর গতিপথে যদি মানুষ বাধা দেয়,
গাছপালা কেটে ফেলে নাঙ্গা করে দেয়,
রুষ্ট প্রকৃতি তখন সর্বগ্রাসী হয়ে ওঠে।
কে অপরাধী, কে নয়, কার ঘরবাড়ী
ভিটামাটি নদীতে বিলীন হয়ে যায়,
তার বাছ বিচার করার সময় কোথায়?
খেয়ালী প্রকৃতির তা ভাবার কথা নয়।


সে ভুলে যায় এখানে কোন জনপদ ছিল,
শিশুরা মাঠে খেলতো, পাঠশালা যেতো,
ঘর্মাক্ত গেরস্থ বউরা উনুনে ফুঁক দিত,
কিষাণেরা প্রতিদিন সকালে পান্তা খেয়ে
হালের বলদ-মই নিয়ে বেড়িয়ে পড়তো।
এখানে গাছগাছালিতে বসে পাখি ডাকতো।


প্রমত্তা পদ্মা খেয়ে ফেলছে দোহারের মানচিত্র।
একটু একটু করে, ধীরে ধীরে। চোখের সামনে
আস্ত একটা দালান পদ্মাগর্ভে ধ্বসে গেলো।
ভিটামাটি, ঘরবাড়ী, গাছপালা, খেলার মাঠ
শস্যক্ষেত্র, ঘরবসতি, কিছুই রেহাই পেলোনা।
নিঃস্ব দোহারবাসী তারস্বরে স্রষ্টাকে ডাকছে।
ভিডিও চিত্র দেখে শিউরে উঠলাম। ক্ষতিগ্রস্ত
দোহারবাসীদের সাথে প্রার্থনায় সামিল হলাম।


পাদটীকাঃ  আজ সকালে ফেইসবুকে পোস্ট করা এক ভিডিওচিত্রে দেখলাম, কি করে দোহার এর একটা জনপদ ধীরে ধীরে প্রমত্তা পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়ে গেলো। জনগণের ক্ষয়ক্ষতিতে ভীষণ ব্যথিত হলাম।


ঢাকা
২৮ আগস্ট ২০১৪
কপিরাইট সংরক্ষিত।