কোন এক বাঁশীওয়ালার আগমনের প্রতীক্ষায়
বসে আছি গৃহকোণে। চারিদিকে চিৎকার আর
হৈচৈ চলছে। শোরগোল আমার একদম অপছন্দ,
আবার ঠিক নি্র্বিকারও বসে থাকতে পারিনা।


লম্বা একটা ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে আসুক না এক
বাঁশীওয়ালা, যে একমনে বাঁশী বাজিয়ে নেংটি
ইঁদুরগুলোকে ভুলিয়ে ভালিয়ে নিয়ে যাবে পশুর
নদীতীরে। বর্ণাঢ্য পোশাকের সেই বাঁশীওয়ালা
ডুবিয়ে মারুক লুটেরা, সর্বভূক, পেটসর্বস্ব আর
গলাবাজ এই ইঁদুরগুলোকে, যেমন করে ওয়েসার
নদীতে ডুবিয়েছিলো হ্যামেলিনের বংশীবাদক।
আমাদের তেমনি এক বংশীবাদকের প্রয়োজন।
কারণ, আমাদের দেশী বেড়ালগুলো, মাদী মরদ
নির্বিশেষে, তাদের গোঁফগুলো হারিয়ে ফেলেছে!


নিজে বেড়াল হবার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছি।
তাই শুধু এক বংশীবাদকের আওয়াজ শোনার
অপেক্ষায় দিন গুনছি। ধূসর প্রস্তরখন্ডে নির্মিত
গৃহবাসী সেই অতিষ্ঠ হ্যামেলিনবাসীদের মত।
প্রতীক্ষার শেষ হবে কবে, কখন তা কে জানে!
বংশীবাদকেরা নিজেরাই হয়তোবা অন্য কোন
যাদুর বাঁঁশীর টানে তৃপ্ত, আত্মহারা হয়ে অলস
রিপ ভ্যান উইঙ্কল এর মত সুগভীর নিদ্রামগ্ন।
কে যাবে ক্যাটস্কিল পাহাড়ে তাদের ডেকে নিয়ে
আসতে? তাদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করাতে?


ঢাকা
১৪ অক্টোবর ২০১৪
কপিরাইট সংরক্ষত।