এক যে ছিল বন্ধু আমার,
তার নাম শফিক হায়দার।
দেখতে শুনতে গাট্টা গুট্টা,
পছন্দ করে হাসি-ঠাট্টা।


সবার সাথে ভালো সম্পর্ক,
করেনা কোন তর্ক-বিতর্ক।
বন্ধু আজকে দাওয়াত দিলো,
মজার মজার খাবার ছিলো।


আরো ছিল গানের জলসা,
নানান রকম রঙ তামাশা।
গানের শেষে সবার আবদার,
আমার একটা কবিতা শোনার।


চাইলাম একটা কলম কাগজ,
তার ফাঁকেই ঝারি মগজ।
ঝারতে ঝারতে পেয়ে গেলাম
এই কবিতা, পড়ে শুনালাম।


সবাই বললো ভালো হয়েছে,
আমার কবিতা বেশ জমেছে।
এবার চাইলাম সবার এজাজত,
আসতে হবে বাসায় ফেরত।


গিন্নী আমার ছিলো নিশ্চুপ,
মুখে লাগিয়ে কঠিন কুলুপ।
গাড়ীতে উঠেই বললো হেসে,
হয়েই গেলে কবি অবশেষে?


পাদটীকাঃ  কবিতাটি সত্য ঘটনার উপর লিখিত। কবিতার প্রথম চারটি স্তবক আমার বন্ধু শফিক হায়দার এর বাসায় আমন্ত্রনে গিয়ে উপস্থিত সকলের আকস্মিক অনুরোধে তথায় লিখিত ও পঠিত হয়।

গুলশান-১, ঢাকা।
১৬ মার্চ ২০১৩
কপিরাইট সংরক্ষিত।