তুষারপাত নেই, তেমন কনকনে হাওয়াও নেই।
ভোরের কুয়াশা কেটে যেতে বেশ কিছুটা সময় নেয়।
এ আর এমন কী শীত হলো? অবস্থা তবু কেন জবুথবু?
উত্তর জানা নেই, গরমের চেয়ে শীত অনেক ভালো তবু।


শীতের সবজী বেশ উপাদেয়। আলু-টমেটো-সীমের সালুন
মুখে লেগে থাকে, যেমন থাকে ফুলকপি ভাজি আর পালং।
ধনেপাতা আর পেঁয়াজ পাতার মিশেল যেন বাড়িয়ে দেয়,
সব তরকারীর স্বাদ। পিঠে আর খেজুরের রসতো আছেই।


কখন যে বেলা ওঠে, বেলা যায়, বোঝার উপায় নেই।
দিনে না ঘুমালেই নয়, তাই সময় বের করাটাই কঠিন।
রাজনীতির মাঠে সব পুরনো খেলোয়াড়, নতুনত্ব নেই ।
বর্ণহীন সংসদটাও যেন হিমাক্রান্ত, হয়না উষ্ণ কিছুতেই।


হাঁটাহাটি থেমে গেছে শীতের কারণে। নাকের ভেতরে
ঠান্ডা বাতাসের অনায়াস যাতায়াত টনসিল ফোলায়।
আর কর্ণকুহরে ঢুকে কনকনে শীত কিভাবে যে চলে যায়
শিরদাঁড়া বেয়ে পায়ের পাতায়, তা এক অজানা বিস্ময়।


অন্ধকার ঘরে লেপমুড়ি দিয়ে আরো অন্ধকার ডেকে আনি,
তারপর খুঁজতে থাকি আলোর ঠিকানা, যেমন করে খোঁজে,
অন্ধকারে ডুবে থেকে, ভোরের আলোর ছটা কুশীল সমাজ।
শয্যায় শুয়ে শীতার্ত পাখীদের নিয়ে করি কবিতার বিলাস।


পাদটীকাঃ এ বছরের শুরুতে এক শীতের সকালে এ কবিতাটা লিখেছিলাম। আজকের দিনের জন্যেও (১৩-১২-১৪) কবিতাটাকে খুবই প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে।


ঢাকা
০৬ জানুয়ারী ২০১৪
কপিরাইট সংরক্ষিত।