তোমার হাতের ছোঁয়াটা যে তোমারই,
সেতো আমি চোখ বুঁজেই বলে দিতে পারি।
তোমার হাতের এপিঠ ওপিঠ,
সেতো বাল্যশিক্ষার ছড়াগুলোর মতই আমার মুখস্থ।
মাত্র দুয়েকবার পড়ে কি কোন কিছু মুখস্থ করা যায়?


পিঠের উপর তোমার তপ্ত নিঃশ্বাস,
ঘাড় না ফিরিয়েই তো বলে দিতে পারি, সেটা তোমারই।
কারণ, আমার পিঠ তো আর অন্য কোন উত্তাপ চিনেনি।
স্পর্শে গা কাঁটা দিয়ে ওঠে, সেটা বিলক্ষণ জানতাম।
জানতাম না, নীরব নিঃশ্বাসেও!


ঠোঁটগুলো যখন একে অপরকে গ্রেপ্তার করে,
ছাড়াবার ভার নেয় তখন তদারককারী জিহ্বাদ্বয়।
পরিব্রাজকের মত অচিন দেশের আনাচে কানাচে পৌঁছে,
পরখ করতে থাকে এটা ওটা সেটা, যেটা কাছে পায়।
ক্লান্ত হবার পরই বন্ধ চোখ দুটো খুলে যায়।


কোমল ছোঁয়া, হ্যাঁ শুধু একটি কোমল ছোঁয়াই,
গায়ে জ্বালিয়ে দিতে পারে বন বাদারের দাবানল।
তখন আর কোন কিছুই কোমল থাকে না।
দুটি শিখাগ্নি একীভূত হয়ে দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে,
দহন শেষে নিবু নিবু হয়ে আবার কোমল হয়ে যায়।


ঢাকা
২৮ এপ্রিল ২০১৫
স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।