সবাই ভালোবাসা পেতে চায়।
শিশুরা বেশী চায়, সামান্যতেই তারা তৃপ্তও হয়,
এই যেমন কারো উষ্ণ বুকে যখন তারা কচি মুখ লুকায।
বালক বালিকারাও চায়। তারা ভালোবাসা পায় বলে মনে করে,
যখন কেউ পরম আদরে ডেকে তাদের ছোটখাট আবদারগুলো
আনন্দের সাথে মিটিয়ে দেয়।


কিশোর কিশোরীরাও অলক্ষ্যে চায়।
তাদের সে চাওয়াগুলো মিটে যায় যখন কেউ
মন দিয়ে তাদের মনের অব্যক্ত কথাগুলো শোনে, বুঝে নেয়।
যুবক যুবতীরাও ভালোবাসা চায়, তবে তারা তা কেবলই চায়
একান্ত নিভৃতে, ব্যস্ত জীবনের কোলাহল এড়িয়ে,
চেনা অচেনা সবার আড়ালে প্রাইভেসীর পর্দা টেনে।


মধ্যবয়সীরাও চায় ভালোবাসা পেতে,
তবে তাদের ভালোবাসার হিসেবটা মাঝে মাঝে জটিল হয়ে যায়,
কখনো নিম্নমুখী, কখনো ঊর্ধ্বমুখী হবার কারণে।
প্রৌঢ় প্রৌঢ়াদের ভালোবাসা কখনো স্মৃতিচারণ, আবার কখনো
নিত্য পরীক্ষার, পাড়া পড়শীদের সাথে মিলিয়ে যাচাই করার।
ঝগড়াঝাটি করেও তারা মাঝে মাঝে ভালোবাসা পরখ করে।


বৃদ্ধ বৃ্দ্ধারা বেশী বেশী ভালোবাসা চায়।
তারা প্রকৃতির কাছে চায়, প্রেমাষ্পদের করতলে ভালোবাসা
অন্বেষণ করে। দূুর্বাঘাসকেও আঁকরে ধরে তারা ভালোবাসা চায়।
সদ্যজাত শিশুর কাছেও যেমন তারা ভালোবাসার জন্য দু'হাত পাতে,
দূুর্লঙ্ঘ্য পর্বত আর বহতা নদীর কাছেও পাতে, আত্মজ আত্মজার কাছে
তারা নির্নিমেষ ভালোবাসা চায়, ভালোবাসাতেই তারা শেষ বিদায় যাচে।


ঢাকা
১২ মে ২০১৫
স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।