স্বপ্ন দেখতে দেখতেই সে নীড় বেঁধেছিলো,
দয়িতের কোলে শুয়ে আকাশ দেখেছিলো।
আকাশের পাখি আর বাগানের প্রজাপতি
উভয়ে মিলে তাকে দীক্ষা দিয়েছিলো।


অনেক স্বপ্ন নিয়ে সে নীড় বেঁধেছিলো,
হৃদয় মথিত প্রেমে ভালোবেসেছিলো।
গোটা পৃথিবীর কথা সে মোটেও ভাবেনি,
কে কী বলতে পারে তার পরোয়া করেনি।


হঠাৎ কোথা থেকে এক দমকা হাওয়া এলো
তার স্বপ্নের নীড়টাকে ভেঙ্গে দিয়ে গেলো।
সেই থেকে দুঃস্বপ্ন তার সাথী হয়ে গেলো,
সুখের স্বপন নিয়ে সে দুঃখী র'য়ে গেলো।


আজও তার মনে কত স্বপ্ন ফিরে আসে,
সেসব স্বপ্ন দেখতে সে আজো ভালোবাসে।
স্বপ্ন দেখতে দেখতে সে ঘুমায় অনায়াসে,
স্বপ্নজাল বুনেই তার দিন যায় আসে।


ছোট্ট শাবকটাকে তার দু'ডানার মাঝে
চুপচাপ চেপে ধরে ওম দিয়ে রাখে।
এখন সময় হলো তার আকাশে ওড়ার,
অনন্ত আকাশ মাঝে ঠিকানা খোঁজার।


এই নীড় খালি হলে কিভাবে জীবন
কাটাবে সে একা একা ভাবে অনুক্ষণ।
আজ অনেকেই তাকে কত স্বপ্ন দেখায়,
স্বপ্নের কথা ভেবে সে পিয়ানো বাজায়।


এভাবে স্বপ্ন নিয়ে তার দিন কেটে যায়।
উদাস কন্ঠে গায় গান সুরেলা গলায়।
এটা সেটা লিখে রাখে লেখার খাতায়,
কতকিছু ভাবে শুয়ে, শীতল শয্যায়!


ঢাকা
০৯ জুলাই ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।