পড়ন্ত বয়েস, মাথায় জ্বলছে এখনো সিঁদুর,
তবু জীবনটা তার কতনা বেদনা বিধুর।
তবু তার কাঁধে চেপেছে জীবনের জোয়াল,
দৈনিক অন্ন সংস্থানই তার প্রধান খেয়াল।


তবু তাকে বিক্রী করতে হয় সারাদিন ধরে
দুই ঝুড়ি কাঁচা তরকারি, পথে ফেরী করে।
একটা ঝুড়িতে ছিলো সতেজ ধুন্দুল,
অন্যটায় ছিলো শাক আর কুমড়োর ফুল।


যদিও দুটো দ্রব্যেরই মান খুব ভালো ছিলো,
তবুও ধুন্দুলওয়ালী তার দাম কমই চাইলো।
মূল্যহ্রাসের কারণে আমি তাই খুশীই হলাম,
যেটুকু প্রয়োজন ছিল, তার ডবল কিনলাম।


যখন জিজ্ঞাসিলাম আমি মূল্যহ্রাসের কারণ,
কাতরকন্ঠে ধুন্দুলওয়ালী করলো উচ্চারণ,
দাঁতের তীব্র ব্যথায় তার মাথা ছিঁড়ে যায়,
তাই দ্রুত বাড়ী ফেরার সে খুঁজছে উপায়।


ধুন্দুলওয়ালীর কষ্টক্লিষ্ট সেই মুখের ছবিটা
পীড়িত করেছে আমায় তাই লিখছি কবিতা।
যতটা সাশ্রয় আমার হয়েছে ধুন্দুল কিনে,
ততটাই হয়েছে ক্ষতি তার দাঁতের কারণে।


পথের যেখানে ছিলো ধুন্দুলওয়ালীর ঝুড়ি,
দু'দিন পর গিয়ে দেখি আর নেই সেই বুড়ী।
ঝুড়ি নিয়ে বসে আছে তার নাতি একজন
দিয়ে আসি তার কাছেই, কিছুটা ক্ষতিপূরণ।


ঢাকা
১০অগাস্ট ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।