সবই আছে, তবু যেন কিছু নেই।
চারিদিকে শুধু নেই নেই, কিছু নেই।
আছে শুধু শূন্যতা, দিবসে নিশীথে,
গৃহকোণে, শয্যায়, লেখার টেবিলে
অলিন্দে, ছাদে, মনের ঘুলঘুলিতে।
এসব শুন্যতার কারণ জানা নেই।


এ কেমন শুন্যতা, যখন সবকিছু
এমন অর্থহীন, মূল্যহীন হয়ে যায়!
যাপিত জীবনটা থেকে রঙিন স্মৃতি
বাসি ফুলের পাঁপড়ির মত ঝরে যায়।
জ্যোৎস্নালোকে নিভৃত স্নান, মাঝরাতে
পিয়ানোর ঝঙ্কার, হঠাৎ গেয়ে ওঠা
কোন কোকিলের গান, সবকিছু কেমন
আকর্ষণহীন মনে হয়। রঙিন প্রজাপতি
কিংবা ফড়িং এর ফুলে ফুলে বসা,
নদীর বয়ে যাওয়া, সব অসাড় মনে হয়।


জমাটি মেঘ থেকে বৃষ্টি ঝরে অবিরাম;
কে জানে হয়তো এই ঝরাটাও অর্থহীন...


পাদটীকাঃ কবিতাটির অনেকাংশ এক কবি বন্ধু কর্তৃক ব্যক্ত অনুভূতির আলোকে লেখা।


ঢাকা
১৩ অগাস্ট ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।