না, তেমন কোন দাসখত তো কেউ লিখে দেয় নি,
যে প্রতিটি কথায় সাড়া দিতেই হবে…
চিঠি লিখতেই হবে, চিরকুট পাঠাতেই হবে,
ছবি দেখতেই বা দেখাতেই হবে, সুপ্রভাত বলতেই হবে,
দাসখত ছাড়াই তো এগুলো হচ্ছিলো এতদিন মনের ডাকে!


আজ যখন আমাদের সে স্বয়ংক্রিয় অভ্যাসে ছেদ পড়ে,
সেটা হোক যে কোন কারণেই, বা যে কোন অজুহাতে,
তখন ব্যাকুল মনটা যে বড় ছটফট করবে,
সেটাই তো খুব স্বাভাবিক, নয় কি সুদূরিয়া?
অস্থির মনে কি কখনো সুস্থিরভাবে কবিতা লেখা যায়?


সুদূরিয়া, তুমি ঠিকই বলেছো, নীরবতাও একটি ভাষা।
নীরবতার মাঝেও অনেক কিছু বলা যায়।
অনেক কিছু শোনা যায়, বোঝা যায়।
অনেক কিছু বুঝিয়েও দেয়া যায়।
তবু, নীরবতার ওজনটা যে খুব ভারী, সুদূরিয়া!


নীরবতার ভারে নিষ্পেষিত মনটা যেন
হস্তীপদতলে তছনছ হওয়া এক কুসুমবন।
বাতাসে হেলানো কোন গাছ মাটি স্পর্শ করলেও,
আবার কোন এক সময়ে ঠিকই তা দাঁড়িয়ে যায়।
ঐরাবতের পদতলপিষ্ট কোন চারা আর দাঁড়াতে পারেনা।


(বিধিসম্মত সতর্কীকরণঃ কবি আর কবিতা এক নয়)


ঢাকা
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।