অনেকদিন পর...
অনামিকা একটু একান্ত অবসর পেলো।
বুয়াকে ডেকে সে মাথায় তেল বসিয়ে নিচ্ছিলো।
বুয়া যেন এ অপছন্দনীয় কাজটাতে বিরক্ত না হয়,
সেজন্য সে এটা ওটা বলে তার মনযোগ টানছিলো।
তার এসব এলোপাতাড়ি কথাবার্তা কিছুক্ষণের জন্য
বুয়ার মনযোগ ধরে রাখতে পেরেছিলো বটে।


একটু পরেই তার কথার ঝাঁপি শুন্য হয়ে যায়।
তবুও অনুগত বুয়া তার মাথায় তেল বসিয়ে যায়।
অনামিকা চোখ বুঁজে তার এলোকেশ উড়িয়ে দিলো,
সাথে বেঁধে দিলো জীবনের একেকটি বর্ণিল স্বপ্ন।
লাল নীল হলুদ সবুজ, বিভিন্ন বরণের স্বপ্নগুলো
একেকটি রঙিন ঘুড়ি হয়ে আকাশে উড়তে থাকলো।


অনামিকা নিজেও একটি কিশোরী বালিকার ন্যায়
আকাশে উড়ে গেলো। মেঘে মেঘে ভাসতে থাকলো।
অবশেষে পৌঁছে গেলো আজন্ম ইপ্সিত চাঁদের দেশে।
সেখানে দেখতে পেলো ঝুলানো এক মস্ত বড় তালা।
অনামিকার খেয়াল হলো, একদিন এক স্বপ্নপরী এসে
তার হাতে দিয়েছিল এক গোছা চাবি। আর বলেছিলো,
তার স্বপ্নের দেশে যেতে হলে এ চাবির প্রয়োজন হবে।
অগত্যা সে ফিরে এলো তার নিজ ঘরে, নিজ ঘোরে।


ঢাকা
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।